Updated on September 3rd, 2024 ||
সামাজিক সুরক্ষা যোজনাটি পশ্চিমবঙ্গের অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালে প্রথম গঠন করা হয়েছিল। রাজ্যের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক পরিবারগুলিকে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করাই হল এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।
২০২০ সালের ১লা এপ্রিল থেকে এই প্রকল্পের নতুন নামকরণ করা হয় ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ বা BM-SSY। এই নিবন্ধে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা কি, সুবিধা, স্ট্যাটাস চেক, লিস্ট ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা কি
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সামাজিক সুরক্ষা যোজনাটি হল স্ব-নিযুক্ত পেশা এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য একটি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প। রাজ্যের কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে প্রায় ৯৩% হল এই অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকগণ, যাদের মধ্যে রয়েছেন দৈনিক মজুরির শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, গৃহকর্মী, রাস্তার বিক্রেতা এবং কারিগরগণ।
এই সকল শ্রমিকেরা সাধারণত কোনো চুক্তি বা চাকরির নিরাপত্তা ছাড়াই নিম্ন আয়ের বা অসংগঠিত ক্ষেত্রের কোন কাজে নিযুক্ত থাকেন এবং দেখা যায় যে, এদের অনেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য বীমা, পেনশন এবং অক্ষমতার কভারেজগুলির মতো মৌলিক সুরক্ষা সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এই সমস্ত কর্মীদের জন্য একটি মৌলিক সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করাই হল এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যে।
এই সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যেমন, শ্রমিকদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড, স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ প্রকল্প, ডেথ বেনিফিট ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সাহায্য, পড়াশুনার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা ইত্যাদি।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা বিবরণ
পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক সুরক্ষা যোজনার সংক্ষিপ্ত বিবরণটি নিচে দেওয়া হলঃ
প্রকল্পের নাম | বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা যোজনা (BM-SSY) |
উদ্যোক্তা | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
শুরুর সময় | ২০২০ সাল |
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ | পশ্চিমবঙ্গ শ্রম বিভাগ |
লাভার্থী | পশ্চিমবঙ্গের স্ব-নিযুক্ত পেশা ও অসংগঠিত কর্মক্ষেত্রের শ্রমিকগণ |
উদ্দেশ্য | শ্রমিক পরিবারগুলিকে মৌলিক সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান |
আবেদন পদ্ধতি | অফলাইন ও অনলাইন |
সরকারী ওয়েবসাইট | bmssy.wblabour.gov.in/ |
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা সুবিধা
BM-SSY এর অধীনে সুবিধা লাভের ক্ষেত্রে নির্মাণ ও পরিবহন শ্রমিকদের সাথে নিম্নলিখিত ৪৬ টি অসংগঠিত শিল্পের কর্মীদের এবং ১৫ টি স্ব-নিযুক্ত পেশার কর্মীদের অনুমোদন করা হয়েছে যথাক্রমেঃ-
- অটোমোবাইল মেরামত গ্যারেজ (যেখানে ২০ জনের কম কর্মী আছে)
- বেকারি (যেখানে ২০ জনের কম কর্মী আছে)
- বিড়ি তৈরির শ্রমিক
- বোটম্যান সার্ভিস
- বোন মিল
- বই বাঁধাই
- পিতলের পাত্র
- কাজু প্রক্রিয়াকরণ
- সিরামিক
- সিনেমা
- ক্লিনিক্যাল নার্সিং হোম্স/বেসরকারি হাসপাতাল
- কয়ার শিল্প কোর্ট/রেজিস্ট্রেশন অফিসে কপি লেখার কাজ
- কুটির / গ্রাম ভিত্তিক কুটির শিল্প (নৌকা পরিবেশন. আইস, চুড়ি তৈরি, আগুনের কাজ, চকির মিল, ঘুড়ি ও ঘুড়ির কাঠি তৈরি, মাটির পাত্র কাজ, ধান কাটা, এমব্রয়ডারি এবং জরি চিকন ওয়ার্ক)
- ডাল মিল
- সাজসজ্জা বা ডেকোরেশন
- পায়ের পোশাক (চামড়া, রাবার, প্লাস্টিক)
- বনায়ন এবং কাঠের অপারেশন
- গার্মেন্টস মেকিং
- হস্ত-তাঁত
- হোসিয়ারি
- হোটেল ও রেস্তোরাঁ
- LC.D.S., I.P.P.-VlII এবং C.U.D.P.-IlI
- আয়রন ফাউন্ড্রি
- খাদি
- লাখ শিল্প (20 জনের কম কর্মী আছে)
- চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য
- লাইনসম্যান বেকারি পণ্য সরবরাহে নিযুক্ত
- সিনকোনা ছাড়া অন্য মেডিকেল প্ল্যান্ট
- অয়েল মিল
- কাগজ বোর্ড এবং খড় বোর্ড উৎপাদন
- প্লাস্টিক শিল্প
- পাওয়ার লুম
- প্রিন্টিং প্রেস
- হাস্কিং মিল সহ রাইস মিল
- রাবার এবং রাবার পণ্য
- করাত মিল
- নিরাপত্তা সংস্থা
- রেশম চাষ
- দোকান (২০ জনের কম কর্মী) এবং প্রতিষ্ঠান (২০ জনের কম কর্মী)
- সিল্ক প্রিন্টিং
- কসাই
- ছোট স্কেল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট
- ছোট আকারের রাসায়নিক ইউনিট
- টেলারিং ইন্ডাস্ট্রি (২০ জনের কম কর্মী আছে)
- কপি টাইপ করার কাজ
নিম্নউল্লিখিত ১৫ জন স্ব-নিযুক্ত পেশার কর্মীদের এই যোজনার অধীনে রাখা হয়েছেঃ
- ভূমি জরিপকারী
- আয়া / রোগীদের দ্বারা হাসপাতালের নার্সিং হোমে নিযুক্ত অ্যাটেনডেন্ট
- নাপিত / বিউটিশিয়ান
- ছুতোর
- মুচি / জুতা প্রস্তুতকারক
- সাইকেল রিকশা এবং ভ্যান চালক
- গৃহকর্মী
- জেলেদের
- সোনা ও রুপোর কারিগর
- হেড-লোড শ্রমিক ও লোডিং এবং আনলোডিংয়ে নিয়োজিত শ্রমিকরা
- প্রতিমা নির্মাতারা
- রেলওয়ে হকার্স
- সংবাদপত্রের হকারসহ রাস্তার হকার
- বর্জ্য বাছাইকারী
- NGO-এর কর্মী ও পশ্চিমবঙ্গ কল্যাণ প্রকল্পে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ
শিক্ষাঃ
অর্থনৈতিক চাপের কারণে অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের ছেলেমেয়েরা যাতে শিক্ষা ক্ষেত্রে বঞ্চিত না হয়ে পরে, সেদিকে নজর রেখে সুবিধাভোগীর সর্বাধিক ২ জন সন্তানের জন্য উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত আর্থিক সহায়তাগুলি করা হয়ে থাকেঃ
একাদশ শ্রেণী | বার্ষিক ₹৪,০০০/- |
দ্বাদশ শ্রেণী | বার্ষিক ₹৫,০০০/- |
আইটিআই প্রশিক্ষণ | বার্ষিক ₹৬,০০০/- |
স্নাতক স্তরে কলা/বিজ্ঞান/বাণিজ্য | বার্ষিক ₹৬,০০০/- |
স্নাতকোত্তর স্তরে কলা/বিজ্ঞান/বাণিজ্য | বার্ষিক ₹১০,০০০/- |
পলিটেকনিক পড়া | বার্ষিক ₹১০,০০০/- |
মেডিকেল/ইঞ্জিনিয়ারিং | বার্ষিক ₹৩০,০০০/- |
এছাড়া স্নাতক স্তর বা সমতুল্য শিক্ষার পর যদি কন্যা অবিবাহিত থাকে তবে তাকে ₹২৫,০০০/- এককালীন অনুদান প্রদান করা হবে। সুবিধাভোগীর সর্বাধিক দুটি কন্যা এই অনুদান পাওয়ার যোগ্য।
যোগ্যতাঃ
- সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে নিবন্ধিত সুবিধাভোগীর সন্তানদের কমপক্ষে এক বছরের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অনুদান প্রদান করা হবে।
- কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকারের স্বীকৃত যে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী হতে হবে।
- যে সকল শিক্ষার্থীরা ‘স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিনস স্কলারশিপ স্কিম’ বা কোন বৃত্তি, উপবৃত্তি বা অন্য কোন উৎস থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনুদান পেয়ে থাকেন, তারা এই প্রকল্পের অধীনে সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নয়।
প্রভিডেন্ট ফান্ড
রাজ্য সরকার ২০০১ অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য PF চালু করে, যেখানে শ্রমিকরা ৬০ বছর বয়সের পর এককালীন অর্থ পাবেন। এই ফান্ডে প্রথমদিকে সুবিধাভোগীদের সামান্য ২৫/- অনুদান জমা করতে হত এবং সরকারের তরফ থেকে ₹৩০/- জমা করা হত।
তবে ২০২০ সালের ১লা এপ্রিল থেকে ‘বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ এর অধীনে রাজ্য সরকার প্রতি মাসে ₹৫৫/- টাকা (₹২৫/- + ₹৩০/-) সুবিধাভোগী এবং রাজ্য অনুদান সহ প্রদান করে, যা সুবিধাভোগীর অবসরকালে বা মৃত্যুর পরে সুদ সহ মোট অর্থ দেওয়া হয়ে থাকে।
বর্তমানে এই যোজনার অধীনে সমস্ত অসংগঠিত শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক এবং পরিবহন শ্রমিকদের জন্য এই সুবিধা উপলব্ধ করা হয়েছে।
যোগ্যতাঃ
- সামাজিক সুরক্ষা যোজনার নিবন্ধিত সুবিধাভোগী হতে হবে
- EPF এবং MP আইন, ১৯৫২ এর অধীনে অন্তর্ভুক্ত নয়
স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ
সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ প্রকল্পে কোন সুবিধাভোগী অথবা পরিবারের সদস্যরা যেকোনো ধরনের অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে বার্ষিক ₹৬০,০০০/- টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন। এই অর্থ রোগীর যেকোনো ধরণের ক্লিনিকাল টেস্ট, মেডিসিন এবং হাসপাতালে ভর্তির খরচ রূপে ব্যবহার করা যাবে।
যোগ্যতাঃ
- সুবিধাভোগীকে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার নিবন্ধিত হতে হবে
- সুবিধাভোগী যেন ESI আইন, ১৯৪৮ বা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনা (RSBY) বা স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতাভুক্ত না থাকেন
ডেথ বেনিফিট ও প্রতিবন্ধকতা
অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের রোগ বা দুর্ঘটনার কারণে অকাল মৃত্যুর ফলে পরিবারের বাকি সদস্যদের বিশেষ অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে, সেক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে নিম্নলিখিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকেঃ
- কোন দুর্ঘটনার কারণে সুবিধাভোগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে ₹২,০০,০০০/- টাকা
- সুবিধাভোগীর উভয় চোখের অপূরণীয় ক্ষতি বা উভয় হাত বা পা হারানো অথবা একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানো এবং সাথে হাত বা পায়ের ক্ষতির ক্ষেত্রে ₹২,০০,০০০/- টাকা
- এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানোর ক্ষেত্রে, বা এক হাত বা পায়ের ব্যবহার হারানোর ক্ষেত্রে ₹১,০০,০০০/- টাকা
- সুবিধাভোগীর স্বাভাবিক মৃত্যু বা সুবিধাভোগীর ৪০% অক্ষমতার ক্ষেত্রে ₹৫০,০০০/-
তবে নিম্নলিখিত পরিস্থিতিতে কোন সহায়তা অনুমোদিত হবে না যেমনঃ-
- ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজেকে আঘাত, আত্মহত্যা বা আত্মহত্যার চেষ্টা, উন্মাদনা বা সদস্য যদি মদ বা মাদকদ্রব্যের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন
- দাঙ্গা, হট্টগোল বা যেকোনো ধরনের দৌড়ের আঘাতের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত
যোগ্যতাঃ
- সুবিধাভোগীকে সামাজিক সুরক্ষা যোজনার নিবন্ধিত হতে হবে
- অক্ষমতা সার্টিফিকেটটি কোন সরকারী হাসপাতাল দ্বারা ইস্যু করা হতে হবে
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা যোগ্যতাঃ
সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে সুবিধালাভের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলি প্রয়োজনঃ
- আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে
- আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে
- নির্মাণ ও পরিবহন শ্রমিক ব্যতীত আবেদনকারীর পারিবারিক আয় প্রতি মাসে ₹৬,৫০০/- এর বেশি হওয়া উচিত নয়
- নির্মাণ ও পরিবহন শ্রমিকদের পারিবারিক আয়ের কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রয়োজনীয় নথি
সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় আবেদনের জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলি প্রয়োজনঃ
- আধার/ভোটার কার্ড
- পাসপোর্ট সাইজ ফটো
- ব্যাঙ্কের পাসবই
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা ফর্ম
BM-SSY তে আবেদনের জন্য আপনি অফলাইনে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা ফর্ম পূরণ করে নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বা বিডিও অথবা মিউনিসিপ্যালিটি অফিসে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা আবেদন
আপনাকে BM-SSY তে অনলাইনে আবেদনের জন্য অফিসিয়াল পোর্টাল bmssy.wblabour.gov.in তে যেতে হবে এবং সর্বপ্রথম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, তারপর আপনি ফর্ম পূরণ করে অনলাইনেই আবেদন করতে পারবেন, তবে পোর্টালটিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় আপাতত নতুন রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা যোগাযোগ
আপনি এই স্কিম সম্পর্কিত তথ্যের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লেবার কমিশনারেটের টোল ফ্রি 1800-103-0009 হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা সম্পর্কিত প্রশ্ন (FAQ)
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা কি?
সামাজিক সুরক্ষা যোজনা হল পশ্চিমবঙ্গের অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য একটি সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, যেটি ২০১৭ সালে চালু হয়েছিল। এই যোজনার অধীনে শ্রমিকদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড, স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ, প্রতিবন্ধকতা ও ডেথ বেনিফিট ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় প্রভিডেন্ট ফান্ড সুবিধাটি কি?
এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে প্রতি মাসে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে ₹৫৫/- টাকা করে জমা করা হয়ে থাকে, যা ৬০ বছর বয়সের পর সুবিধাভোগীকে সুদ সহ মোট অর্থ প্রদান করা হয়।
সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে মৃত্যু এবং অক্ষমতার কি সুবিধা পাওয়া যায়?
সামাজিক সুরক্ষা যোজনার অধীনে ₹৫০,০০০/- টাকা থেকে ₹২,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা লাভ করা যায়।