Updated on August 29th, 2024 ||
স্বামী বিবেকানন্দ ‘মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ’ (SVMCM) যা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ নামেই বেশি পরিচিত তা হল পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্কলারশিপ। এটি রাজ্যের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলির মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে গঠন করা হয় এবং ২০১৬ সালে এই স্কলারশিপটি পুনর্গঠন করে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীদের কভার করার পাশাপাশি স্কলারশিপের অর্থের পরিমাণও বৃদ্ধি করা হয়।
বিকাশ ভবন দ্বারা এই স্কলারশিপটি পরিচালিত হয় বলে এটি বিকাশ ভবন স্কলারশিপ নামেও পরিচিত। এই স্কলারশিপ শুধুমাত্র টপারদের জন্য নয়, সাথে নন-টপাররাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এই নিবন্ধে স্কলারশিপটির সুবিধা, যোগ্যতার মানদণ্ড, অনলাইনে আবেদন করার পদ্ধতি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ কি
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ দ্বারা প্রতি বছর রাজ্যের লক্ষাধিক মেধাবী ছাত্র ছাত্রীরা উপকৃত হয়ে থাকেন। এই স্কলারশিপে মাধ্যমিকের পরবর্তী অর্থাৎ একাদশ ক্লাস থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর স্তরের শিক্ষার্থীরা এমনকি মেডিকেল ও কারিগরি বিদ্যার শিক্ষার্থীরাও অর্থ সহায়তা পেয়ে থাকেন। এই স্কলারশিপের অধীনে বার্ষিক সর্বনিম্ন ₹১২,০০০/- থেকে সর্বাধিক ₹৯৬,০০০/- টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।
পূর্বে যেখানে ৭৫% নম্বর পেলে তবে এই স্কলারশিপ পাওয়া যেত বর্তমানে সেখানে মাত্র ৬০% নম্বর পেয়েই ছাত্র ছাত্রীরা এই স্কলারশিপ অর্জন করতে পারছেন। তাই সেক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক এই স্কলারশিপের আবেদন জমা পড়ছে।
এই স্কলারশিপের নতুন আবেদনের সাথে রিনুয়ালদের সংখ্যাও আগের বছরগুলির চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে তাই সব মিলিয়ে সরকারকে এই স্কলারশিপের জন্য বাজেটকেও বৃদ্ধি করতে হয়েছে। ২০২১-২২ সালে যেখানে এই স্কলারশিপের বাজেট ছিল ₹১১০০ কোটি টাকা সেখানে বর্তমান ২০২৩-২৪ এর বাজেট বেড়ে হয়েছে ₹১৫০০ কোটি টাকা।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ বিবরণ
পশ্চিমবঙ্গ স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের সংক্ষিপ্ত বিবরণটি নিচে দেওয়া হলঃ
যোজনার নাম | স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ |
উদ্যোক্তা | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
প্রকল্প বাজেট | ₹১৫০০ কোটি টাকা |
পরিচালিত কেন্দ্র | বিকাশ ভবন |
উদ্দেশ্য | রাজ্যের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান ও উচ্চ শিক্ষার হার বৃদ্ধি |
বৃত্তির ধরন | মেধা এবং আর্থিক পরিস্থিতি |
স্কলারশিপের পরিমাণ | মাসিক ₹১০০০ – ₹৮০০০/- টাকা |
আবেদনের ধরণ | অনলাইন এবং অফলাইন |
সরকারী ওয়েবসাইট | svmcm.wbhed.gov.in |
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এর টাকা কবে ঢুকবে
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ কারা পাবে
SVMCM স্কলারশিপটি যেহেতু ব্যাপক পরিধিতে ছাত্র ছাত্রীদের সহায়তা প্রদান করে থাকে তাই এর যোগ্যতার মানদণ্ডগুলিও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। নিচে এই স্কলারশিপের যোগ্যতার উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি তালিকাভুক্ত করা হলঃ
- আবেদনকারীদের অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের অধিবাসী হতে হবে।
- এই বৃত্তিটি যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা ও আর্থিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে অনুমোদন করা হয়ে থাকে।
- SVMCM স্কলারশিপের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর মোট পারিবারিক আয় বার্ষিক ₹২,৫০,০০০/- এর বেশি হওয়া উচিত নয়।
- আবেদনকারী একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর রেগুলার মোডের শিক্ষার্থী হতে পারেন।
- আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বা স্নাতক স্তরে অধ্যয়নরত বিজ্ঞান, কলা, বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং এছাড়া কারিগরি ও পেশাগত কোর্সের শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপের আবেদন করতে পারবেন।
- আবেদনকারী অবশ্যই ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন’, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কাউন্সিল ফর হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন’, ‘মাদ্রাসা এডুকেশন ফর হায়ার সেকেন্ডারি লেভেল’ বা স্নাতক স্তরের স্কলারশিপের শিক্ষার্থী হবেন।
- আবেদনকারী ৬০% নম্বর পেয়ে পাস হওয়া ২০২৩ সালের পরীক্ষার্থী অথবা অনিবার্য কারণে ভর্তি না হওয়া ২০২২, ২০২১, ২০২০ বা ২০১৯ সালের পরীক্ষার্থী হতে পারেন।
- ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (AICTE) দ্বারা অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীরাও এই স্কলারশিপের জন্য যোগ্য।
- ‘আন্ডার গ্র্যাজুয়েট লেভেল’ স্কলারশিপের জন্য ‘পশ্চিমবঙ্গ স্টেট কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ (WBSCTVE&SD) দ্বারা অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, ফার্মেসি কোর্সে শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
- এছাড়া আন্ডার গ্র্যাজুয়েট লেভেল স্কলারশিপের ক্ষেত্রে ‘স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি’ দ্বারা অনুমোদিত ফার্মাসি কোর্সের শিক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
- যে কোন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে জেনারেল এডুকেশনে অনার্স নিয়ে গ্র্যাজুয়েশনের ক্ষেত্রে মোট ৫৩% নম্বর থাকলে স্নাতকোত্তর স্তরের বৃত্তির আবেদন করা যাবে।
- স্নাতকোত্তর বা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি বা ফার্মেসি কোর্সের ক্ষেত্রে স্কলারশিপের জন্য পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও স্টেট ইউনিভার্সিটি বা AICTE অনুমোদিত ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক স্তরে ৫৫% নম্বর থাকতে হবে।
- রাষ্ট্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান থেকে এম.ফিল কোর্স এবং ডক্টরাল কোর্সের (নন-নেট জুনিয়র রিসার্চ ফেলো এবং নেট-লেকচারারশিপ) ছাত্ররা এই স্কলারশিপের জন্য যোগ্য।
- ছাত্রীদের ক্ষেত্রে যদি তাদের গ্র্যাজুয়েশনে ৪৫% নম্বর থাকে, তবে পরবর্তীকালে এই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে বিজ্ঞান, কলা এবং বাণিজ্য স্ট্রিমে স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কন্যাশ্রী (K3) আবেদনকারী রূপে এই স্কলারশিপের আওতায় আসবে।
- যে সকল ছাত্র ছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তারা একই কোর্সের জন্য অন্য কোনো সরকারি (কেন্দ্রীয় বা রাজ্য) বৃত্তি বা উপবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে, অন্য কোনো উৎস থেকে প্রাপ্ত এককালীন অনুদান বা হোস্ট প্রতিষ্ঠান দ্বারা অনুমোদিত সহায়তা তারা নিতে পারবেন।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ স্ট্যাটাস চেক ২০২৩-২৪
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ যোগ্যতার মানদণ্ড
এবার দেখে নেওয়া যাক কোন স্তরের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কি ধরণের যোগ্যতার প্রয়োজন।
উচ্চ মাধ্যমিকঃ
শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক পরীক্ষায় যদি মোট ৬০% নম্বর থাকে তবে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সময় এই স্কলারশিপের আবেদন করতে পারবে। তবে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বাইরের প্রার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করার যোগ্য হবেন না।
ডিপ্লোমা কোর্স (DTE&T এর অধীনে পলিটেকনিক)
যারা ২০২২ সালে মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করে প্রথম বর্ষের পলিটেকনিক ডিপ্লোমা কোর্স যেমন ফার্মেসি, মডার্ন অফিস প্র্যাকটিস ও ম্যানেজমেন্ট, ২ বছরের গ্রাফিক্স ও 3-ডি অ্যানিমেশন অথবা যারা উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করে ২ বছরের আইটিআই-এর ক্ষেত্রে পলিটেকনিক ডিপ্লোমার ২য় বর্ষে অধ্যয়ন করছে তারা এই স্কলারশিপের আবেদন করতে পারবে। তবে প্রার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষায় ৬০% নম্বর থাকতে হবে।
আন্ডার গ্র্যাজুয়েটঃ
স্নাতক স্তরের স্কলারশিপের জন্য রাজ্য সরকারের কাউন্সিল অফ এইচ.এস. বা মাদ্রাসা শিক্ষা পরিষদ পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিকে ন্যূনতম মোট ৬০% নম্বর থাকতে হবে। ইউজি সায়েন্স, আর্টস ও কমার্সের জন্য আলাদা মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
পোস্ট গ্র্যাজুয়েটঃ
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের স্নাতক স্তরে অনার্স বিষয়ে কমপক্ষে ৫৩% নম্বর থাকতে হবে এবং এক্ষেত্রে অনার্স বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরই হল পিজি-লেভেল স্কলারশিপের জন্য একমাত্র মানদণ্ড।
কন্যাশ্রীদের ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর স্তরে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে বিজ্ঞান, কলা এবং বাণিজ্য স্ট্রীমে
পড়াশুনার জন্য গ্র্যাজুয়েশনে ৪৫% নম্বর থাকতে হবে। এছাড়া উল্লেখ্য যে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিনস স্কলারশিপের অধীনে K-3 বৃত্তির ক্ষেত্রে কন্যাশ্রী শিক্ষার্থীদের আয়ের শংসাপত্র এবং আয়ের শপথপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
রিসার্চঃ
রিসার্চের ক্ষেত্রে যারা ফুল টাইম এম.ফিল. অথবা পিএইচ.ডি. এর জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন তাদের রিসার্চ পেপার জমা দেওয়া পর্যন্ত তারা এই স্কলারশিপের সুবিধা পাবেন এবং নেট লেকচারশিপ স্কলাররা শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত হলে এই স্কলারশিপের সুবিধা পাওয়া বন্ধ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য থাকবে।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ রিনুয়াল
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ রিনুয়ালের ক্ষেত্রে, উচ্চ শ্রেণীতে ভর্তির তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যেই এই স্কলারশিপের রিনুয়ালের আবেদন অনলাইনে জমা দিতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে প্রতিটি সেমিস্টার প্রথম প্রচেষ্টায় পাস করা আবশ্যিক।
রিনুয়ালের ক্ষেত্রে যোগ্যতার মানদণ্ডগুলি হল নিম্নরূপঃ
- উচ্চ মাধ্যমিক স্তর থেকে স্নাতক স্তর পর্যন্ত সবকটি পরীক্ষায়, এমনকি সেমিস্টারের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম ৬০% নম্বর থাকতে হবে।
- স্নাতকোত্তর স্তরে প্রমোশনাল এবং সেমিস্টার উভয় ক্ষেত্রে ৫০% নম্বর প্রয়োজন।
সাধারণ ডিগ্রী বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী শিক্ষার্থীদের SVMCM স্কলারশিপের রিনুয়ালের ক্ষেত্রে নিম্ন উল্লিখিত ডকুমেন্টসগুলি প্রয়োজনঃ
১ম রিনুয়ালঃ SEM 1 এবং SEM 2 মার্কশিট জমা দিতে হবে
২য় রিনুয়ালঃ SEM 3 এবং SEM 4 মার্কশিট জমা দিতে হবে
MBBS ছাত্রদের SVMCM স্কলারশিপ রিনুয়ালের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত ডকুমেন্টসগুলি প্রয়োজনঃ
১ম রিনুয়ালঃ ১ম এমবিবিএস মার্কশীট জমা করতে হবে
২য় রিনুয়ালঃ পরবর্তী বছরে ২য় রিনুয়ালের জন্য ২য় এমবিবিএস মার্কশিট প্রদান করতে হবে
৩য় এবং ফাইনাল রিনুয়ালঃ ৩য় অধ্যাপকের পার্ট-১ এর MBBS মার্কশিট প্রদান করতে হবে
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এ কত টাকা পাওয়া যায়
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের অধীনে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত আর্থিক সহায়তাগুলি পাবেনঃ
ডিরেক্টরেট অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন (DPI) | ||
কোর্সের নাম | যোগ্যতার মানদণ্ড | মাসিক বৃত্তির পরিমাণ |
স্নাতক (কলা ও বাণিজ্য)/ আন্ডার গ্র্যাজুয়েট (আর্টস ও কমার্স) | শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর | ₹১,০০০/- |
স্নাতক (বিজ্ঞান)/ আন্ডার গ্র্যাজুয়েট (সাইন্স) | শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর | ₹১,৫০০/- |
আন্ডার গ্র্যাজুয়েট UGC অনুমোদিত অন্যান্য পেশাগত কোর্স | শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর | ₹১,৫০০/- |
স্নাতকোত্তর (কলা ও বাণিজ্য) | SVMCM-এর জন্য শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫৩% এবং কন্যাশ্রীর জন্য ৪৫% নম্বর | ₹২,০০০/- |
স্নাতকোত্তর (বিজ্ঞান) | SVMCM-এর জন্য শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫৩% এবং কন্যাশ্রীর জন্য ৪৫% নম্বর | ₹২৫০০/- |
পোস্ট গ্র্যাজুয়েট UGC অনুমোদিত অন্যান্য পেশাগত কোর্স | শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৫৩% নম্বর | ₹২৫০০/- |
নন নেট এম.ফিল./নন নেট পিএইচ.ডি. | নিবন্ধনের তারিখ ০১-০৪-২০১৭ এর আগে না হয় | যথাক্রমে ₹৫,০০০/- এবং ₹৮,০০০/- |
ডিরেক্টরেট অফ স্কুল এডুকেশন (DSE) | ||
কোর্সের নাম | যোগ্যতার মানদণ্ড | মাসিক বৃত্তির পরিমাণ |
উচ্চ মাধ্যমিক (HS) | শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর | ₹১,০০০/- |
প্রাথমিক শিক্ষায় ডিপ্লোমা (D.El.Ed) | শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর (ন্যূনতম যোগ্যতা H.S) | ₹১,০০০/- |
ডিরেক্টরেট অফ টেকনিকাল এডুকেশন (DTE) | ||
কোর্সের নাম | যোগ্যতার মানদণ্ড | মাসিক বৃত্তির পরিমাণ |
আন্ডার গ্র্যাজুয়েট (ইঞ্জিনিয়ারিং)/ UG (ENGG.) | স্নাতক স্তরে ৬০% নম্বর এবং WBSCT&VE&SD থেকে ডিপ্লোমা কোর্সে ৬০% নম্বর | ₹৫,০০০/- |
PG (ENGG.) এবং অন্যান্য পেশাগত কোর্স (AICTE অনুমোদিত) | পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো স্টেট ইউনিভার্সিটি/এআইসিটিই অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকে ৫৫% নম্বর | ₹৫,০০০/- |
ডিরেক্টরেট অফ টেকনিকাল এডুকেশন এন্ড ট্রেনিং (DTE&T) | ||
কোর্সের নাম | যোগ্যতার মানদণ্ড | মাসিক বৃত্তির পরিমাণ |
পলিটেকনিক (ডিপ্লোমা কোর্স) | শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর | ₹১,৫০০/- |
ডিরেক্টরেট অফ মেডিকেল এডুকেশন (DME) | ||
কোর্সের নাম | যোগ্যতার মানদণ্ড | মাসিক বৃত্তির পরিমাণ |
আন্ডার গ্র্যাজুয়েট (মেডিকেল-ডিগ্রি) এবং ডিপ্লোমা কোর্স | শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর | যথাক্রমে ₹৫,০০০/- এবং ₹১,৫০০/- |
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এ কি কি ডকুমেন্ট লাগবে
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীদের নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলি আপলোড করতে হবেঃ
- শেষ বোর্ড/কাউন্সিল/বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজ পরীক্ষার মার্কশিট (উভয় দিক)
- ভর্তির রশিদ
- পরিবারের আয়ের শংসাপত্র (কন্যাশ্রীর জন্য প্রযোজ্য নয়)
- ঠিকানা প্রমান রূপে আধার আইডি/ভোটার আইডি/রেশন কার্ড/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত শংসাপত্র
- ব্যাঙ্ক পাসবুকের স্ক্যান কপি (১ম পৃষ্ঠা, অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং IFSC কোড)
- কোন ইয়ার গ্যাপ বা বছরের ব্যবধান থাকলে তার কারণ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের ঘোষণাপত্র জরুরী। তবে এটির তখনই প্রয়োজন হবে যখন আবেদনকারী ২০২২ বা তার আগের বছরগুলি যোগ্যতা অর্জনের বছর হিসাবে চিহ্নিত করে।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ আবেদন
SVMCM স্কলারশিপে আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করে আপনি স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেনঃ
- আপনাকে SVMCM এর অফিসিয়াল পোর্টালে যেতে হবে।
- মেনুর ডানদিকে ‘Registration’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর একটি পপ্আপ ম্যাসেজ দেখা যাবে যেখান ‘Topper’ অথবা ‘Non-Topper’ আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।
- তারপর আপনি ‘How to apply’ পেজে পৌঁছাবেন, যেখানে আবেদন প্রক্রিয়া সম্বন্ধীয় ডিটেলস তথ্য দেওয়া থাকবে। আপনাকে পেজের একদম নিচে যেতে হবে এবং ‘Proceed for Registration’ তে ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনি ‘Registration Category’ পেজে পৌঁছাবেন যেখানে মোট ৫ ধরণের বিভাগ আপনি দেখতে পাবেন, আপনাকে সঠিক বিভাগটি বেছে নিয়ে ‘Apply For Fresh Application’ এ ক্লিক করতে হবে।
- তাহলেই ‘REGISTRATION FOR SCHOLARSHIP’ ফর্মটি খুলে যাবে যেখানে পরীক্ষার নাম, বোর্ডের নাম, পরীক্ষার বছর, প্রাপ্ত মোট নম্বর, বর্তমানে কোন কোর্সে ভর্তি হয়েছে এছাড়া নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ‘Register’ এ ক্লিক করতে হবে। এরপর মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের পর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।
- রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাওয়ার পর মেনু থেকে ‘Applicant Login’ এ গিয়ে আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে এবং ক্যাপচা পূরণ করে লগইন করতে হবে।
- লগইন করার পর আপনাকে ‘Application Details’ এ গিয়ে ‘Edit Application’ থেকে আবেদন পত্রের বাকি তথ্যগুলি যেমন আবেদকের ছবি, সই, পার্সোনাল ডিটেলস, ফ্যামিলি অ্যাড্রেস, ব্যাঙ্ক ডিটেলস ইত্যাদি পূরণ করতে হবে এবং কিছু জরুরী ডকুমেন্টস যেমন বোর্ডের পরীক্ষার মার্ক্সশিট, আধার বা রেশন কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবইয়ের কপি, ইনকাম সার্টিফিকেট ইত্যাদি স্ক্যান করে PDF আপলোড করতে হবে।
- ফর্মটি সম্পূর্ণ রূপে পূরণ করা হয়ে গেলে ‘Submit Application’ এ ক্লিক করতে হবে এবং অ্যাকনোলেজমেন্ট স্লিপটি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে নিতে হবে। এরপর ফর্ম, স্লিপ ও ফর্মের সাথে যুক্ত ডকুমেন্টসগুলির ফটোকপি একসাথে করে নিজস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে জমা করতে হবে।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ হেল্পডেস্ক
কোনরকম অসুবিধার ক্ষেত্রে প্রার্থীরা নিম্নলিখিত হেল্পডেস্কে যোগাযোগ করতে পারবেনঃ
ইমেইলঃ helpdesk.svmcm-wb@gov.in
ফোনঃ +1800-102-8014
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ সম্পর্কিত প্রশ্ন
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ কি?
স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট-কাম-মিনস স্কলারশিপ (SVMCM) হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি মেধা ভিত্তিক বৃত্তি যা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পরা মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বার্ষিক ₹১২,০০০/- থেকে ₹৯৬,০০০/- টাকা পর্যন্ত সহায়তা প্রদান করে থাকে।
SVMCM তে কোন ক্লাস থেকে কত পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়া যায়?
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপে একাদশ শ্রেণী থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এবং ডক্টরাল স্তর পর্যন্ত অধ্যয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য কী কী যোগ্যতা প্রয়োজন?
SVMCM স্কলারশিপের জন্য পশ্চিমবঙ্গের আবাসিক হতে হবে এবং বার্ষিক পারিবারিক আয় ₹২,৫০,০০০/- টাকার কম হতে হবে তবে আয়ের এই মানদণ্ড কন্যাশীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। স্কুল এবং স্নাতক আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বর অর্জন করতে হবে, স্নাতক স্তরে অনার্স বিষয়ে কমপক্ষে ৫৩% নম্বর এবং স্নাতকোত্তরদের জন্য কোনও বছরের ব্যবধান ছাড়াই ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে কমপক্ষে ৫৫% নম্বর অর্জন করতে হবে। বিজ্ঞান/কলা/বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক স্তরে কমপক্ষে ৪৫% নম্বর থাকতে হবে।
SVMCM স্কলারশিপের রেজিস্ট্রেশন করা সত্ত্বেও কেন রিনুয়াল করতে পারছি না?
SVMCM স্কলারশিপের রিনুয়াল শুধুমাত্র তারাই করতে পারবেন যাদের পূর্ববর্তী বছরে স্কলারশিপ অনুমোদিত হয়েছিল।