স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এর টাকা কবে ঢুকবে | টাকা পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্মন্ধে জানুন!

Updated on April 25th, 2024 ||

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের জন্য লক্ষাধিক ছাত্র ছাত্রীরা প্রতি বছর আবেদন করে থাকে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা নতুন এবং রিনুয়ালের জন্য আবেদন করেছিল তাদের অধিকাংশের টাকাই ইতিমধ্যে অ্যাকাউন্টে ক্রেডিট হয়ে গেছে। 

বিশেষ করে যারা নতুন আবেদন করেছিল তাদের মধ্যে স্কুল, কলেজ বা ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছাত্রীরা ইতিমধ্যেই টাকা পেয়ে গেছে। রিনুয়ালের ক্ষেত্রে যারা দেরি করে আবেদন করেছিল এবং কিছু ক্ষেত্রে বি-টেক/ডিপ্লোমা কোর্সের আবদনকারীদের মধ্যে অনেকের টাকা এখনও আটকে আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। 

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ 2023-24 টাকা কবে ঢুকবে

আমরা জানি স্কলারশিপের ক্ষেত্রে ফান্ডের যোগান অনুযায়ী ধাপে ধাপে টাকা ছাড়া হয়ে থাকে। স্বামী বিবেকানন্দের ২০২৩-২৪ স্কলারশিপের প্রথম পর্যায়ের টাকা জানুয়ারী মাসেই দেওয়া হয়ে গিয়েছিল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের টাকাও মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই ছাড়া হয়, এমনকি এপ্রিল মাসের শুরুতেও ফান্ডে টাকা আসার সাথেই স্কলারশিপের টাকা ছাড়া হয়েছে।

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এর টাকা কবে ঢুকবে

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এর টাকা ঢুকতে কেন দেরি হচ্ছে

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকা অনেক ছাত্র ছাত্রী ইতিমধ্যে পেয়ে গেলেও অনেকেরই এখনও স্কলারশিপের টাকা ঢোকেনি। এই স্কলারশিপের টাকা পেতে কেন দেরি হয় তার বেশ কিছু কারন আছে যার মধ্যে অন্যতম হল ফান্ডের যোগান, যা সাধারনত মাসের প্রথমে এবং শেষে হয়ে থাকে বলে ধাপে ধাপে টাকাও সেই মতই ছাড়া হয়।

এছাড়া আগে অল্প সংখ্যক ছাত্র ছাত্রীরাই এই স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পেত কিন্তু এখন অনেকেই এই স্কলারশিপের যোগ্যতা অর্জন করার ফলে সরকারকেও এই স্কলারশিপের বাজেট বাড়াতে হয়েছে এবং ২০২৩-২৪ অর্থ বর্ষে ১৫০০ কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে।

স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সময় লাগার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারন হল যে এক্ষেত্রে আবেদন থেকে মঞ্জুর হওয়া পর্যন্ত নথি ও যোগ্যতা যাচাইয়ের একটি লম্বা প্রসেসিং এর কাজ হয়ে থাকে। তাই যারা পরে রেজিস্ট্রেশন করেছিল তাদের বর্তমানে ভেরিফিকেশনের কাজ চলছে, তাই তাদের টাকা পেতেও আরও কিছুদিন দেরি হতে পারে।

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ স্ট্যাটাস চেক

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ এর টাকা পাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির খেয়াল রাখা উচিতঃ

  • যে সকল ছাত্র ছাত্রীদের ১৮ বছরের নিচে মাইনর বা স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট বা যাদের টাইনি (Tiny) অ্যাকাউন্ট তাদের ক্ষেত্রে লিমিট থাকার কারনে পেমেন্ট রিজেক্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্টটিকে মেজর অ্যাকাউন্টে পরিবর্তন করে নিতে হবে।
  • নতুনদের ক্ষেত্রে ‘Self Declaration Form’ আপলোড করা আবশ্যিক। সেক্ষেত্রে ফর্মটি পোর্টাল থেকে ডাউনলোড করে স্কুল বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান (HOI) কে দিয়ে সই করিয়ে আপলোড করতে হবে।
  • নতুন ছাত্র ছাত্রীদের যদি ১-২ বছর ড্রপ আওউট থাকে সেক্ষেত্রে ‘এপ্লিকেশন রিজেক্টেড’ দেখাতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই কারন এপ্লিকেশনের সব ঠিক থাকলে ভেরিফিকেশনের পর তা অ্যাপ্রুভড হয়ে যাবে।
  • রিনুয়ালের ক্ষেত্রে যারা আগে আবেদন করেছিল তাদের অনেকেরই ‘এপ্লিকেশন অ্যাপ্রুভড’ হয়ে গেছে, কিন্তু পরে আবেদন করে থাকলে তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটটি HOI কে দিয়ে সই করানোর পর আপলোড করতে হবে, অন্যথা রিজেক্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপের টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে যে অনেকের ক্ষেত্রে কোন ম্যাসেজ আসেনি অথচ ব্যাঙ্ক পাসবুক আপডেট করে দেখা গেছে যে তাদের স্কলারশিপের টাকা ঢুকে গেছে। তাই একথা অবশ্যই বলা যায় যে ফান্ডের যোগান আসলেই যাদের এপ্লিকেশন, ডকুমেন্টস ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সমস্ত সঠিক দেওয়া হয়েছে তারা অবশ্যই টাকা পাবে। এই স্কলারশিপের আবেদন অ্যাপ্রুভড হতে এক মাস মতো সময় লাগে এবং স্যাংশন হতে আরও এক মাস মতো সময় লাগতে পারে। 

সামনে লোকসভা ভোটের কারনে আশা করা হচ্ছে যে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই সবাই টাকা পেয়ে যাবে অথবা শিডিউল করা থাকলে মে মাসেও টাকা ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যাদের এই পর্যায় টাকা ঢুকবে না তাদের পুনরায় ডকুমেন্টস আপলোড করতে হবে এবং পুনরায় ভেরিফিকেশনের জন্য আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে টাকা পেতে দেরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অর্থাৎ তারা ভোটের পর টাকা পাবে।

Leave a Comment