পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১০ সালে বয়স্ক বা ৬০ বছরের বেশি বয়সের মানুষদের জন্য বার্ধক্য ভাতা চালু করে, যেখানে প্রতি মাসে তাদের ₹১০০০/- করে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই নিবন্ধে বার্ধক্য ভাতা আবেদন, যোগ্যতা ইত্যাদি সম্বন্ধীয় বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হল।
বার্ধক্য ভাতা কি
বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ‘মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ বিভাগ’ এর অধীনে
২০১০ সালে চালু করে। ৬০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে মানুষ তাদের স্বাভাবিক কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার কারনে যখন তারা জীবিকা অর্জন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন, সেক্ষেত্রে যাতে তাদের অর্থ সংস্থানের অভাবে বিশেষ অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, তাই প্রবীণদের জীবনযাত্রার মৌলিক মান বজায় রাখতে এবং সামাজিক নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর রেখেই সরকারের তরফ থেকে এই বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বার্ধক্য ভাতা বিবরণ
বার্ধক্য ভাতার সংক্ষিপ্ত বিবরণটি নিচে উল্লেখ করা হলঃ
প্রকল্পের নাম | বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প |
শুরুর সময় | ২০১০ সাল |
প্রকল্প ধরণ | পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রকল্প |
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ | মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ বিভাগ |
লাভার্থী | ৬০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে রাজ্যের নাগরিকগণ |
উদ্দেশ্য | সামাজিক নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে ভাতা প্রদান |
ভাতার পরিমাণ | মাসিক ₹১০০০/- |
ন্যূনতম সময় | ৬০ বছর |
আবেদন প্রক্রিয়া | অফলাইন |
সরকারী ওয়েবসাইট | উপলব্ধ নেই |
বার্ধক্য ভাতা যোগ্যতা
বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে আপনার নিম্নলিখিত যোগ্যতার মানদণ্ডগুলি পূরণ করতে হবেঃ
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাঃ
আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই সুবিধাগুলি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারীদের উদ্দেশ্যেই প্রদান করা হয়েছে তাই তা নিশ্চিত করতে বসবাসের প্রমাণ প্রয়োজন।
বয়সঃ
আবেদনকারীদের বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হতে হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে, যেমন শারীরিক বা মানসিক রূপে অসুস্থদের ক্ষেত্রে বয়সের মাত্রা ৫৫ বছর রাখা হয়েছে।
আয়ঃ
এই ভাতার যোগ্যতার মধ্যে আয়-ভিত্তিক মানদণ্ড রাখা হয়েছে। এই ভাতাটি প্রধানত নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য গঠন করা হয়েছে, যাদের আর্থিক সহায়তার উল্লেখযোগ্য কোন উৎস নেই বা যাদের মাসিক আয় হল ₹১০০০/- টাকা বা তার কম।
বার্ধক্য ভাতা আবেদনের প্রয়োজনীয় নথি
বার্ধক্য ভাতার আবেদনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নথিগুলি প্রয়োজনঃ
- আধার কার্ড
- ভোটার কার্ড
- রেশন কার্ড
- ব্যাংকের পাস বই
- ইনকাম সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট সাইজের ফটো
বার্ধক্য ভাতা আবেদন
বার্ধক্য ভাতার আবেদনের জন্য আপনাকে অফলাইনে ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। এই প্রকল্পের আবেদনের পদ্ধতিটি হল নিম্নরূপঃ
- আপনাকে স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও, এসডিও অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আবেদন পত্র সংগ্রহ করতে হবে এবং তা যথাযথ পূরণ করে ও উপরে উল্লিখিত নথিগুলি সংযুক্ত করে জমা করতে হবে।
- আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর তা সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দ্বারা তা যাচাই করা হবে এবং আবেদনকারী এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য কি না তা নিশ্চিত করা হবে।
- আবেদনপত্রটি যাচাই করার পর তা অনুমোদিত হলে পেনশনের পরিমাণ বিতরণ করা হয়। এই প্রকল্পে প্রত্যেক মাসে ₹১০০০/- টাকা করে প্রাপকের পছন্দ অনুযায়ী DBT মাধ্যমে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বা পোস্ট অফিসে ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে।
বার্ধক্য ভাতা সম্পর্কিত প্রশ্ন (FAQ)
বার্ধক্য ভাতা কি?
বার্ধক্য ভাতাটি হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি প্রকল্প, যেখানে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষদের জন্য মাসিক ₹১০০০/- টাকা করে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
বার্ধক্য ভাতা কারা পাবে?
পশ্চিমবঙ্গ বার্ধক্য ভাতাটি রাজ্যের পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই উপলব্ধ। যাদের বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি এবং যাদের পেনশন নেই বা অন্য আয়ের পরিমাণ ₹১০০০/- টাকা বা তার কম তারাই হলেন এই ভাতার যোগ্য।
বার্ধক্য ভাতা কত টাকা?
পশ্চিমবঙ্গ বার্ধক্য ভাতার পরিমাণ হল মাসিক ₹১০০০/- টাকা।
বার্ধক্য ভাতার জন্য কিভাবে আবেদন করব?
বার্ধক্য ভাতার জন্য আপনি স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস, বিডিও, এসডিও অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আবেদন করতে পারবেন।