স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, সুবিধা, অসুবিধা, পাওয়ার যোগ্যতা ও নিয়ম । Student Credit Card in Bengali

Updated on June 27th, 2025 ||

পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা লাভের পথ সুগম করার উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার ২০২১ সালে এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড স্কিমটি চালু করেছে, যেখানে পড়াশুনোর ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কম সুদের হারে লোন নিতে পারবেন। তাই উচ্চ শিক্ষার জন্য প্ল্যান করা ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই স্কিমের গুরুত্ব অপরিসীম।

এই নিবন্ধে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কি, এই কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, আবেদন কিভাবে করবেন, সুবিধা ও অসুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য প্রদান করা হল এবং বিষয়গুলির গুরুত্ব বিবেচনা করে পাঠকদের সম্পূর্ণ নিবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আবেদন করা হচ্ছে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কি

রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা যাতে আর্থিক পরিস্তিতির শিকার হয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত না হয় সেই উদ্দেশ্যেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড স্কিমটি চালু করা হয়েছে। এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোন জমানত ছাড়াই মাত্র ৪% বার্ষিক সুদ দিয়ে সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবে। 

এই স্কিমটির অধীনে ছাত্রছাত্রীরা মাধ্যমিক স্তর থেকে শুরু করে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এবং পেশাদারী স্তরের অধ্যয়নের ক্ষেত্রেও লোনের সুবিধা পাবেন। এই স্কিমে ভারতের যে কোনও স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি দেশের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশুনার ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীরা লোন নিতে পারবে।

এই স্কিমে ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, আইন, আইএএস, আইপিএস, ডব্লিউবিসিএস ইত্যাদি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলির জন্য বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরাও ঋণ নিতে পারবেন।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিবরণ

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড স্কিমের সংক্ষিপ্ত বিবরণটি নিচে দেওয়া হলঃ

প্রকল্পের নামস্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড
উদ্যোক্তাপশ্চিমবঙ্গ সরকার
শুরুর সময়২০২১ সাল
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগপশ্চিমবঙ্গ উচ্চ শিক্ষা পর্ষদ
লাভার্থীপশ্চিমবঙ্গের সকল উচ্চ শিক্ষার ছাত্রছাত্রী
উদ্দেশ্যশিক্ষা ক্ষেত্রে ঋণ রূপে আর্থিক সহায়তা প্রদান
অনুদানের পরিমাণসর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা
সুদের হার৪%
পরিশোধের সময়কাল১৫ বছর
আবেদন পদ্ধতিঅনলাইন
সরকারী ওয়েবসাইটhttps://wbscc.wb.gov.in/

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের উদ্দেশ্য

যে কোন রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান সেই রাজ্য তথা সমগ্র দেশ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারন তারাই হলেন দেশের ভবিষ্যৎ। তাই রাজ্য সরকারের কাজের অন্যতম বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল যে কোনও শিক্ষার্থী যাতে আর্থিক দুর্বলতার কারণে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয় তা নিশ্চিত করা।

এই উদ্দেশ্য সফল করার জন্যই পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২১ সালে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ইন্টারেস্ট সাবসিডি অ্যারেঞ্জ’ নামে একটি ব্যবস্থা চালু করেছে, যেখানে মাধ্যমিকের পর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য কোন প্রকার জামানত বা তৃতীয় পক্ষের গ্যারান্টি প্রদান না করেই শিক্ষা ক্ষেত্রে ঋণ পাওয়া যাবে।

এক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র ৪% এবং পরিশোধের সময়কাল হল ১৫ বছর রাখা হয়েছে, তবে ঋণগ্রহীতা যদি অধ্যয়নের সময়কালেই সুদ সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করেন তবে উপরন্তু ১% সুদের ছাড় প্রদান করা হবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্য প্রধানত একটিই যে, শিক্ষার্থীদের যেন শিক্ষাগত বিষয় কোনরকম আপোষ না করতে হয়।

স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সুবিধা

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড থেকে শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি পাবেঃ

  • এই স্কিমের অধীনে সুদের সাবভেনশনের পরে শিক্ষার্থীরা মাত্র ৪% সহজ বার্ষিক সুদের হারে ১০ লক্ষ  টাকা ঋণ পায়।
  • ছাত্রছাত্রীরা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, আইন, ডব্লিউবিসিএস প্রভৃতি যে কোন কোর্স করার জন্য এই ঋণের আবেদন করতে পারবে।
  • স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে শুধুমাত্র এদেশে নয়, বিদেশেও বিভিন্ন ধরণের কোর্স করা যাবে।
  • শিক্ষার্থীরা এই কার্ডের মাধ্যমে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে।
  • এই ঋণের অর্থ শিক্ষার্থীরা তাদের হস্টেল ফি, স্টাডি মেটারিয়াল যেমন বই, ট্যাব, ল্যাপটপ ইত্যাদি কেনার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে।
  • এই ঋণের ক্ষেত্রে কোনরকম জমানতের প্রয়োজন নেই।
  • শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনা চলাকালীন যে কোনও সময় এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারে।
  • শিক্ষার্থীরা যে কোন সরকারি বা বেসরকারি ব্যাঙ্ক, এছাড়া কেন্দ্রীয়, রাজ্য বা জেলা সমবায় ব্যাঙ্কগুলি থেকে এই ঋণ নিতে পারবে।
  • এই ঋণ পরিশোধের জন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ বছর সময় দেওয়া হয়েছে, যাতে তারা পড়াশুনো শেষ করার পর নিজেরা চাকরি করে তা পরিশোধ করতে পারে।
  • স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ১ বছরের মোরাটোরিয়াম পিরিয়ড বা স্থগিতের সময়কাল পাবে অর্থাৎ পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর তারা ১ বছর সময় পাবে এবং তারপর থেকে লোন পরিশোধের EMI কাটা শুরু হবে।

নবান্ন স্কলারশিপ

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড এর অসুবিধা

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের যদিও কোন অসুবিধা নেই, তবে শিক্ষার্থীদের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিলে কোন অসুবিধা আছে কি না। তাই এবার দেখে নেওয়া যাক যে ঋণ নেওয়ার আগে আমাদের কি কি বিষয় নজর রাখা উচিৎ।

  • স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য শিক্ষার্থীকে ভর্তির রশিদ দেখাতে হয় অর্থাৎ উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হওয়ার যে খরচ তা আপনাকেই যোগার করতে হবে। 
  • স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড হল একটি লোন সুবিধা, অর্থাৎ এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
  • স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে আপনি ১ বছরের মোরাটোরিয়াম পিরিয়ড পাবেন, তবে সে সময়ও আপনার ৪% সুদ ধার্য করা হবে।
  • এই ঋণের পরিশোধের ক্ষেত্রে তা শিক্ষার্থীর চাকরি পাওয়া বা না পাওয়ার ওপর নির্ভর করবে না।

তাই যে কোন লোনের মতই ভবিষ্যতে অর্থের যোগান নিশ্চিত থাকলে তবেই ঋণের জন্য আবেদন করা উচিৎ। আপনি যদি পড়াশোনার ক্ষেত্রে বড় কোন সুযোগ পান, যা ভবিষ্যতে আপনাকে নিশ্চিত বেশি আয় রিটার্ন করবে তবেই আপনার সেই পড়াশোনার জন্য ঋণের আবেদন করা উচিৎ, অন্যথা তা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সুদ

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অধীনে সুদের হারের পরিমাণের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ

লোণের পরিমাণসুদের হারবছরের সুদমাসিক সুদ
₹১,০০,০০০/-৩% (ছাড় দিয়ে)₹৩,০০০/-₹২৫০/-
₹১,০০,০০০/-৪%₹৪,০০০/-₹৩৩৩/-
₹১০,০০,০০০/-৩% (ছাড় দিয়ে)₹৩০,০০০/-₹২,৫০০/-
₹১০,০০,০০০/-৪%₹৪০,০০০/-₹৩,৩৩৩/-

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য নিয়মগুলি নিচে তালিকাভুক্ত করা হলঃ

  • শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট ও কোচিং ইনস্টিটিউটের কোর্সের ফি প্রদান করতে পারবে।
  • এই কার্ডের মাধ্যমে যেসব ফি প্রদান করা যাবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল টিউশন ফি, কশান মানি ডিপোজিট, রেফান্ডেবেল ডিপোজিট, পরীক্ষার ফি, লাইব্রেরি ফি, ল্যাবরেটরি ফি ইত্যাদি। এছাড়া হোস্টেলে থাকার খরচ বা বাড়ি ভাড়া অথবা পেয়িং গেস্ট থাকার খরচও প্রদান করা যাবে।
  • শিক্ষার্থীরা এই কার্ডের মাধ্যমে বই, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট ইত্যাদি তার পড়াশুনার সামগ্রি কিনতে পারবে।
  • শিক্ষার্থীরা তাদের কোর্সটি সম্পূর্ণ করার জন্য স্টাডি ট্যুর, প্রজেক্ট ওয়ার্ক, থিসিস ইত্যাদি প্রয়োজনীয় খরচের ক্ষেত্রে এই কার্ড ব্যবহার করতে পারবে।
  • একটি কোর্সের পুরো সময়কালে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুমোদিত মোট ঋণের ২০% পর্যন্ত তা জীবনযাত্রার ব্যয় হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • এই কার্ডের অনুমোদিত মোট ঋণের ৩০% শুধুমাত্র অ-প্রতিষ্ঠানিক খরচের জন্য ব্যবহার করা যাবে।
  • এই কার্ডের অধীনে টিউশন ফি ও কোর্স ফি, এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রদেয় অন্য যেকোন খরচ সরাসরি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
  • অ-প্রাতিষ্ঠানিক খরচের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণের টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

পশ্চিমবঙ্গ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলি থাকা প্রয়োজনঃ

  • শিক্ষার্থীকে একজন ভারতীয় নাগরিক এবং গত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।
  • শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষা বা গবেষণার জন্য দেশের মধ্যে বা বাইরের স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেমন IITs, IIMs, IISc, IIESTs, ISIs, NLUs, AIIMSs, NITs, XLRI, BITS তে নথিভুক্ত থাকতে হবে, অথবা ছাত্রছাত্রীদের ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, আইন, আইএএস, আইপিএস, ডব্লিউবিসিএস, এসএসসি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এসপিএ, এনআইডি, আইআইএফটি, আইসিএফএআই বিজনেস স্কুল ইত্যাদি বিভিন্ন কোচিং প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে হবে।
  • এই ঋণের আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স ৪০ বছরের কম হতে হবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রয়োজনীয় নথি

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদনের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নথিগুলির প্রয়োজনঃ

  • আবেদনকারীর ও অভিভাবকের পরিচয়পত্র (আধার কার্ড)
  • আবেদনকারীর ঠিকানা প্রমান (প্যান কার্ড)
  • শেষ পরীক্ষার মার্কশীট
  • নতুন ক্লাসে ভর্তি হওয়ার রশিদ
  • অভিভাবকের প্যান কার্ড বা আয়ের প্রমানপত্র
  • আবেদনকারী ও অভিভাবকের ব্যাঙ্ক পাসবই
  • আবেদনকারীর রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফোটো

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড আবেদন

নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেনঃ

  • আপনাকে অফিসিয়াল পোর্টাল wbscc.wb.gov.in এ যেতে হবে।
  • হোম পেজের মেনুতেই আপনি ‘Student Registration’ বাটনটি দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করতে হবে।
  • আপনার কাছে দুটি বিকল্প আসবে যে আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ভারতে অবস্থিত নাকি দেশের বাইরে অবস্থিত। আপনার ক্ষেত্রে যেটি ঠিক সেটিতে ক্লিক করতে হবে।
student credit card registration wbscc
  • এরপর সরাসরি রেজিস্ট্রেশনের ফর্ম পেজটি খুলে যাবে যেখানে আপনাকে বেসিক ডিটেলস, কোর্সের ডিটেলস, পাসওয়ার্ড ইত্যাদি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার পরেই আপনি আপনার আইডি পাবেন।
  • এরপর আপনাকে সেই রেজিস্ট্রেশন আইডি ও পাসওয়ার্ডের সাহায্যে লগইন করতে হবে, তাহলেই আপনার কাছে ড্যাশবোর্ডটি খুলে যাবে।
  • এবার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদনের জন্য ‘Apply Now’ বাটনে ক্লিক করতে হবে, তাহলেই আবেদনের পূর্ণাঙ্গ ফর্মটি খুলে যাবে, যেখানে আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে যেমন পার্সোনাল ডিটেলস, কো-বরোয়ার বা অভিভাবকের ডিটেলস, কোর্সের ও আয়ের ডিটেলস দিতে হবে এবং কত টাকা আপনি লোন নিতে চাইছেন তা উল্লেখ করতে হবে।
  • এরপর ব্যাঙ্ক ডিটেলস দিয়ে ‘Save & Continue’ করতে হবে এবং পরবর্তী পেজে আপনাকে ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে যেমন, আবেদনকারীর ছবি, অভিভাবকের ছবি, আবেদনকারীর সই, অভিভাবকের সই, আবেদনকারীর আধার কার্ড, আবেদনকারীর প্যান কার্ড, ঠিকানা প্রমানপত্র যেমন ভোটার কার্ড, অভিভাবকের প্যান কার্ড, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার রিসিট ইত্যাদি।
  • ফর্মটি সম্পূর্ণ ফিলাপ করা হয়ে গেলে ‘Submit Application’ এ ক্লিক করতে হবে। তাহলেই আপনার আবেদনের কাজটি সম্পন্ন হবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড সম্পর্কিত প্রশ্ন

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কি?

পশ্চিমবঙ্গের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড হল একটি সরকারী লোন সুবিধা যা মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের থেকে শুরু করে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, এমনকি পেশাদারী স্তরের কোর্সগুলির ক্ষেত্রেও উপলব্ধ।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কবে চালু হয়?

পশ্চিমবঙ্গ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড ২০২১ সালে চালু হয়।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড কত টাকা?

এই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অধীনে একজন শিক্ষার্থী সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকার ঋণ নিতে পারবে।

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য কি কি করতে হয়?

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের জন্য শিক্ষার্থীরা সরকারি পোর্টাল wbscc.wb.gov.in এর মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন এবং আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদনের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করতে হয় যেমন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ছবি এবং সই, প্যান কার্ড, ঠিকানা প্রমানপত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির রিসিট ইত্যাদি।

Leave a Comment