Updated on June 15th, 2024 ||
দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে ভারত সরকার ‘শ্রম ও কর্মসংস্থান’ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০২১ সালের ২৬শে আগস্ট এই ই-শ্রম কার্ড প্রকল্পটি চালু করেছে। সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সুবিধা যাতে শ্রমিক পরিবারগুলি পেতে পারে সেই উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্পটি গঠন করা হয়। চলতি ২০২৪ সালে শ্রম মন্ত্রকের অধীনে প্রকল্পগুলির জন্য মোট ₹১২,৫৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
ই শ্রম কার্ড লিস্ট ২০২৪
ভারত সরকারের এই ই শ্রম কার্ড লিস্ট প্রস্তুতের প্রধান উদ্দেশ্যই হল দেশের শ্রমজীবী মানুষদের অবস্থা নির্ধারণ করা এবং সরকারী প্রকল্পগুলির আওতায় তাদের নিরাপত্তা ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা।
এই ই শ্রম কার্ড লিস্টটি প্রস্তুতের জন্য ‘ই শ্রম পোর্টাল’ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেখানে শ্রমিকরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই কার্ডের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, গৃহস্থালীর কাজে যুক্ত ইত্যাদি শ্রমজীবী মানুষদের আধার ইকেওয়াইসি করা হয়েছে এবং ফলস্বরূপ অসংগঠিত শ্রমিকদের একটি জাতীয় স্তরের ডেটাবেস তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এই তথ্যগুলি ভবিষ্যতে সামাজিক কল্যাণমূলক নতুন কোন প্রকল্প গঠনেও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রকদের বিশেষ ভাবে সহায়তা করবে।
২০২১-২২ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে প্রায় ৪৩.৯৯ কোটি মানুষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভারতে বিভিন্ন ধরনের অপ্রতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রের কর্মীদের যেমন প্রভিডেন্ট ফান্ড, লোন ও অন্যান্য সুবিধা থাকে, অপ্রতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রের শ্রমিকদের তেমন উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না।
অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরাও যাতে বিভিন্ন প্রকার সুবিধা পেতে পারেন তাই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই ই-শ্রম কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কার্ডের মাধ্যমে তাদের কাজ পাওয়ার সুবিধা ছাড়াও পেনশন, বীমা, অক্ষমতার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা ইত্যাদি সুবিধাগুলি পাওয়া যাবে।
এছাড়া, যারা ইতিমধ্যেই ই শ্রম কার্ড লিস্টের অন্তর্ভুক্ত বা যারা চলতি ২০২৪ বছরের জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে এই কার্ডের লিস্টে রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন, সেই সমস্ত যোগ্য শ্রমিক পরিবারগুলিকে মাসিক ₹১০০০/- টাকা করে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
ই শ্রম কার্ড লিস্ট বিবরণ
ই শ্রম কার্ড লিস্টের সংক্ষিপ্ত বিবরণটি নিচে দেওয়া হলঃ
যোজনার নাম | ই শ্রম কার্ড |
উদ্যোক্তা | ভারত সরকার |
শুরুর সময় | ২৬শে আগস্ট ২০২১ |
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় | শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় |
লাভার্থী | দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মরত শ্রমিকগণ |
উদ্দেশ্য | অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমজীবী মানুষদের তালিকা নির্ণয় করা |
বয়স সীমা | ১৬-৫৯ বছর |
আবেদন পদ্ধতি | অনলাইন |
সরকারী ওয়েবসাইট | eshram.gov.in |
অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী কারা
এবার দেখে নেওয়া যাক অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী কাদের বলে! অসংগঠিত ক্ষেত্র অর্থাৎ এমন প্রতিষ্ঠান যেখানে সামান্য সংখ্যক কর্মীরা কাজ করেন যেমন দশজনেরও কম এবং তারা পরিষেবা,পণ্য উৎপাদন বা বিক্রির কাজে যুক্ত থাকেন। এই সমস্ত ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলিতে ‘এমপ্লয়ীজ’ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন’ EPFO এর সুবিধা থাকে না।
এছাড়া এক্ষেত্রে শ্রমিকরা ‘কর্মচারী রাজ্য বীমা আইন’, ‘কর্মচারী ক্ষতিপূরণ আইন’, ‘শিল্প বিরোধ আইন’, ‘মাতৃত্ব সুবিধা আইন’ বা ‘গ্রাচুইটি প্রদান আইন’ ইত্যাদি সুবিধাগুলি থেকেও বঞ্চিত থাকেন। কোন ব্যক্তি যিনি প্রভিডেন্ট ফান্ডের সদস্য নন বা স্ব-নিযুক্ত কাজের কর্মীদেরকেও অসংগঠিত কর্মী বলা হয়।
শ্রমিক কার্ড এর সুবিধা | ই শ্রম কার্ড সুবিধা
ই শ্রম কার্ড থেকে শ্রমিকরা নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি পাবেনঃ
- ই-শ্রম কার্ড লিস্টের অন্তর্ভুক্ত যোগ্য পরিবারগুলি প্রতি মাসে ₹১০০০/- আর্থিক সহায়তা পায়।
- ই শ্রম কার্ড ধারক ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পর মাসিক ₹৩,০০০/- টাকা পেনশন পাবেন।
- শ্রমিক এই কার্ডের অধীনে ২ লক্ষ টাকার ডেথ ইন্সুরেন্স এবং আংশিক প্রতিবন্ধীতার ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা পাবেন।
- ই-শ্রম কার্ডের সুবিধাভোগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার স্ত্রীকে সুবিধা প্রদান করা হবে।
- ই-শ্রম কার্ড ধারককে তার যোগ্যতা অনুযায়ী সরকার পরিচালিত বিভিন্ন যোজনাগুলির সুবিধাও প্রদান করা হয়।
ই শ্রম কার্ডের যোগ্যতা
ই শ্রম কার্ডের জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলি প্রয়োজনঃ
- অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত যে কোনও ব্যক্তি ই-শ্রম কার্ডের জন্য যোগ্য।
- শ্রমিকদের বয়স ১৬-৫৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।
- শ্রমিকদের EPFO/ESIC বা NPS-এর সদস্যতা থাকবে না।
- আবেদনকারীর আধার কার্ডের সাথে সংযুক্ত একটি বৈধ মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।
ই শ্রম কার্ডের জন্য প্রয়োজনীয় নথি
ই শ্রম কার্ডের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নথিগুলি থাকা প্রয়োজনঃ
- আধার কার্ড
- আধার কার্ডের সাথে লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর
- আধার লিঙ্কযুক্ত মোবাইল নম্বর না থাকলে সেক্ষেত্রে নিকটস্থ CSC-তে গিয়ে বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ করাতে হবে
ই শ্রম কার্ড লিস্ট চেক
ই শ্রম কার্ডের তথ্য যাচাইয়ের জন্য ই শ্রম পোর্টালে একটি নতুন ডেটা অ্যাক্সেস প্যানেল যুক্ত করা হয়েছে, যেখান থেকে আপনি জেলা ভিত্তিক স্তরে ই শ্রম কার্ডের তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
ই শ্রম কার্ড লিস্ট চেক করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করুনঃ
- আপনাকে ই-শ্রম কার্ডের অফিসিয়াল পোর্টাল eshram.gov.in এ যেতে হবে।
- হোম পেজে ব্যানারের নিচে ‘eShram Data Access’ এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর পেজটি ডিজিটাল ডেটা পোর্টাল data.gov.in তে রিডাইরেক্ট হবে, যেখানে আপনি রাজ্যের নাম, জেলার নাম ইত্যাদির সাহায্যে ডেটা সার্চ ও লিস্টটি ডাউনলোড করতে পারবেন।
ই শ্রম কার্ড অনলাইন আবেদন
ই শ্রম কার্ডের অনলাইন আবেদন আপনি ই শ্রম পোর্টালের মাধ্যমে অথবা সিএসসি (কমন সার্ভিস সেন্টার) থেকে করতে পারবেন। আপনার এলাকার কাছের সিএসসি কেন্দ্রটি কোথায় তা জানার জন্য আপনি ই শ্রম পোর্টাল থেকে সহজেই রাজ্য, জেলা বা পিনকোডের মাধ্যমে সার্চ করতে পারবেন।
ই শ্রম কার্ডের অনলাইন আবেদনের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করুনঃ
- আপনাকে ই-শ্রম পোর্টাল eshram.gov.in এ যেতে হবে।
- হোম পেজের ব্যানারের ওপর ডানদিকে ‘REGISTER on eShram’ এ ক্লিক করতে হবে।
- এরপর আপনি রেজিস্ট্রেশনের লগইন পেজে পৌঁছাবেন যেখানে ‘Self Registration’ এর স্থানে আধার যুক্ত মোবাইল নম্বরটি লিখে ও ক্যাপচা পূরণ করে ‘Send OTP’ তে ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার মোবাইলের ওটিপিটি লিখে সাবমিট করতে হবে।
- এরপর আপনি মূল রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পেজটিতে পৌঁছাবেন, যেখানে আধার থেকে নেওয়া কিছু তথ্য দেখা যাবে, আপনাকে ‘Continue To Enter Other Details’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- এরপরের পেজটি হল ‘Personal Information’, যেখানে আপনাকে বিবাহিত কিনা, সোশ্যাল ক্যাটেগরি, প্রতিবন্ধী কি না, ব্লাড গ্রুপ ইত্যাদি এবং সাথে নমিনি ডিটেলস পূরণ করতে হবে। তারপর ‘Save & Continue’ তে ক্লিক করতে হবে।
- এরপরের পেজটি হল আবেদনকারীর ঠিকানা সম্বন্ধীয় যেখানে রাজ্যের নাম, জেলার নাম, উপজেলা, পিন কোড ইত্যাদি পূরণ করে ‘Save & Continue’ তে ক্লিক করতে হবে।
- এরপরের পেজটি হল শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্বন্ধীয় যেখানে আবেদনকারীকে তার শিক্ষার মান উল্লেখ করতে হবে যেমন প্রাইমারি, সেকেন্ডারি, গ্র্যাজুয়েট বা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ইত্যাদি। এরসাথে নিচে আবেদনকারীর মাসিক আয়ের পরিমাণও উল্লেখ করতে হবে।
- এরপরের পেজটিতে আপনাকে আপনার পেশা সম্পর্কিত তথ্য দিতে হবে যেমন আপনার মূল পেশা কি এবং কত বছর আপনি সেই পেশায় কাজ করছেন। যদি অ্যামাজন, জম্যাটো, ওলা বা উবের পরিষেবায় কাজ করা কর্মচারী হন তাহলে তাও উল্লেখ করতে হবে। পেশার নামের ক্ষেত্রে একটি তথ্য উল্লেখ্য যে এখানে পেশার নাম নিজের মতো লিখলে হবে না, ফর্মের মধ্যেই ‘ন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অফ অকুপেশন’ বা এনসিও লিস্ট থাকবে যেখানে ক্লিক করে আপনাকে পেশাটির ঠিক নামটি খুজে নিয়ে লিখতে হবে।
- এরপরের পেজটি হোল ফর্মটির শেষ পেজ যেখানে আপনাকে ব্যাঙ্ক ডিটেলসটি দিতে হবে যেমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, হোল্ডারের নাম, IFSC কোড ইত্যাদি। এরপর ‘Save & Continue’ তে ক্লিক করতে হবে ও তারপর পুরো ফর্মটি একবার চেক করে নিয়ে ‘Submit’ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
- আপনি ‘Download UAN Card’ এ ক্লিক করে ই শ্রম কার্ডটি ডাউনলোড করতে পারবেন এবং নিচে ‘Complete Registration’ বাটনে ক্লিক করলেই আপনার রেজিস্ট্রেশনটি সম্পূর্ণ হবে।
ই শ্রম কার্ড ডাউনলোড
ই শ্রম কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন করার পরেই আপনি কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এছাড়া আপনি যদি পরবর্তী সময় ই শ্রম কার্ডটি ডাউনলোড করতে চান সেক্ষেত্রে কি করতে হবে তা দেখে নেওয়া যাক।
- আপনাকে ই-শ্রম পোর্টাল eshram.gov.in এ যেতে হবে।
- হোম পেজের ব্যানার সেকশনে ‘REGISTER on eShram’ লেখার ঠিক নিচে ‘UPDATE’ এ ক্লিক করতে হবে।
- এবার আপনাকে ই শ্রম কার্ডের নম্বরটি লিখে ও ক্যাপচা পূরণ করে ‘Generate OTP’ তে ক্লিক করতে হবে ও ভেরিফিকেশনের পর ‘Download UAN Card’ এ ক্লিক করে আপনি ই শ্রম কার্ডটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
অথবা
- আপনার কাছে যদি UAN বা ই শ্রম কার্ডের নম্বরটি না থাকে তবে ওপরের মেনু থেকে ‘Already Registered’ তে যেতে হবে এবং ‘Update Profile using Aadhaar’ এ ক্লিক করতে হবে।
- এখানে আপনাকে আধার লিংক মোবাইল নম্বরটি লিখে ও ক্যপচা পূরণ করে ওটিপি ভেরিফিকেশন করে নিতে হবে।
- এরপরের পেজে আপনাকে আধার নম্বরটি লিখে পুনরায় ওটিপি ভেরিফিকেশন করতে হবে।
- এই পেজে আপনার আধার কার্ডের কিছু তথ্য দেখাবে, আপনাকে কোথাও চেক না করে শুধুমাত্র ‘Update E-Kyc Information’ এ ক্লিক করতে হবে।
- পরের পেজেই আপনি ‘Download UAN Card’ বাটনটি দেখতে পাবেন, সেখানে ক্লিক করতে হবে।
এরপর আপনার ই শ্রম কার্ডটি দেখা যাবে যেখানে ‘Download UAN Card’ এ ক্লিক করলেই ই শ্রম কার্ড পিডিএফ ফাইলটি ডাউনলোড হয়ে যাবে।
ই-শ্রম কার্ড হেল্পলাইন নম্বর
ই-শ্রম কার্ড হেল্পলাইন টোল-ফ্রি নম্বরঃ ১৪৪৩৪
আপনি যদি হেল্পডেস্ক নম্বর ১৪৪৩৪-এ যোগাযোগ করতে না পারেন তবে অনলাইন পোর্টাল gms.eshram.gov.in মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
ই শ্রম কার্ড লিস্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন
ই শ্রম কার্ড কি?
ই শ্রম কার্ড হোল অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের জন্য করা ভারত সরকারের একটি শ্রম কার্ড। ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সের যে সমস্ত কর্মীরা ছোট প্রতিষ্ঠান বা অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন যেখানে EPFO বা প্রভিডেন্ট ফান্ড, ESIC বা কর্মচারীদের বীমা সুরক্ষা নেই এমন কর্মীরা ই-শ্রম কার্ড বা শ্রমিক কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই কার্ডের মাধ্যমে তারা ৬০ বছর বয়সের পর পেনশন, মৃত্যু বীমা, অক্ষমতার ক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রভৃতি বিভিন্ন সুবিধা পাবেন।
UAN কি?
‘ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর’ বা UAN হল একটি ১২ সংখ্যার অনন্য নম্বর, যা ই-শ্রম কার্ডের নিবন্ধনের পরে প্রত্যেক কার্ড হোল্ডারদের জন্য জারি করা হয়ে থাকে। এই নম্বরটি একটি স্থায়ী নম্বর, যেটি একজন কর্মীর সারাজীবনের জন্য অপরিবর্তিত থাকবে।
ই-শ্রম কার্ডের জন্য কি কোন আয়ের মানদণ্ড আছে?
ই-শ্রম কার্ডের নিবন্ধনের জন্য অসংগঠিত কর্মীদের কোনও আয়ের মানদণ্ড নেই। তবে, তিনি আয়কর প্রদানকারী হবেন না।
ই-শ্রম কার্ডের রেজিস্ট্রেশনের জন্য কি কি নথির প্রয়োজন?
ই-শ্রম কার্ডের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আধার নম্বর, আধার লিঙ্ক করা মোবাইল নম্বর প্রয়োজন, এবং যদি কোনও কর্মীর আধার লিঙ্কযুক্ত মোবাইল নম্বর না থাকে, তবে নিকটস্থ CSC-তে গিয়ে বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
ই-শ্রম কার্ডের নিবন্ধনের জন্য কি কোনো চার্জ দিতে হবে?
না, ই-শ্রম পোর্টাল eshram.gov.in থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে শ্রমিকরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
ই-শ্রম কার্ডের কি কোন বৈধতার সময় বা ভ্যালিডিটি পিরিয়ড আছে?
না, এই ই-শ্রম কার্ড হোল একটি স্থায়ী কার্ড এবং এটি সারাজীবনের জন্য বৈধ।