কৃষক বন্ধু টাকা ঢুকেছে কিনা, স্ট্যাটাস চেক, আইডি ও লিস্ট

Updated on June 21st, 2024 ||

কৃষক বন্ধু প্রকল্পটি হল পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে, রাজ্য সরকারের করা একটি ফ্ল্যাগশিপ স্কিম অর্থাৎ যা হোল একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহৎ আকারের প্রকল্প, যেটি ২০১৯ সালে কৃষি বিভাগ দ্বারা চালু করা হয়েছিল৷

১৭ ই জুন, ২০২১ সালে প্রকল্পটির অধীনে কৃষকদের সুবিধা বৃদ্ধি করা হয় এবং পুনঃনামকরণ করা হয় “কৃষক বন্ধু (নতুন)”। এই নতুন প্রকল্পের অধীনে, কৃষকদের আর্থিক অনুদানের পরিমাণ ₹৫,০০০/- থেকে বাড়িয়ে সর্বাধিক ₹১০,০০০/- টাকা করা হয়েছে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার, কৃষকদের বিভিন্ন কৃষি উপকরণ যেমন শস্য বীজ, সার এবং অন্যান্য উপকরণ ক্রয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা এবং কৃষকদের অকালমৃত্যুর ক্ষেত্রে তাদের পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। এছাড়া ফসল ও পশুসম্পদগুলির জন্য বীমা কভারেজও প্রদান করা হয়।

এই প্রকল্পে কৃষকদের বছরের দুটি সময়, প্রথমটি খরিফের সময় এবং দ্বিতীয়টি রবি মৌসুমে, দুটি সমান কিস্তিতে সর্বাধিক ₹১০,০০০/- টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া কৃষকের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও পরিবারকে এককালীন ₹২ লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

সরকারী বাজেট রিপোর্ট অনুযায়ী “কৃষকবন্ধু (নতুন)” প্রকল্পের অধীনে ২০২২-২৩ খরিফ মরসুমে ৮৮.৭৯ লক্ষ কৃষককে মোট ₹২৪৭৭.৫১/- কোটি টাকার সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে এবং রবি মৌসুমের ক্ষেত্রে ৯১.৫৭ লক্ষ কৃষককে মোট ₹২৫৫৪.৯০/- কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

krishak bandhu scheme bengali

Table of Contents

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের উদ্দেশ্য

পশ্চিমবঙ্গ হোল মূলত একটি কৃষি প্রধান রাজ্য। কৃষিকাজের ক্ষেত্রে শস্য বীজ থেকে শুরু করে উন্নত মানের সার ছাড়াও চাষের অন্যান্য উপকরণ মিলিয়ে তা যথেষ্ট ব্যয় সাপেক্ষ এবং কৃষকেরাও সর্বদা লাভের মুখ দেখতে পান না। তাই তাদের দুর্দশার কথা কম বেশী আমাদের সকলেরই জানা।

রাজ্য সরকার তাই কৃষিকাজে উৎসাহ দিতে এবং কৃষক পরিবারগুলিকে নিশ্চিত আয় ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদানের উদ্দেশ্যে এই কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেছে, যেখানে কৃষকদের জমির পরিমানের ভিত্তিতে তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়াও কৃষকের মৃত্যুর ক্ষেত্রেও তার পরিবারকে আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় ৯০ লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন।

কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ডেথ বেনিফিট রূপে এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে রাজ্য কৃষি বিভাগ ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে যা প্রায় ৪,০০০ মৃত কৃষকদের পরিবারকে সহায়তা প্রদান করবে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে শেষ আর্থিক বছরে প্রায় ৩৪,০০০ কৃষক পরিবার ইতিমধ্যে মোট ৬৮০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা লাভ করেছেন।

বাংলা শস্য বীমা

কৃষক বন্ধু প্রকল্প বিবরণ

পশ্চিমবঙ্গ কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত বিবরণটি নিচে দেওয়া হলঃ

যোজনার নামকৃষক বন্ধু প্রকল্প
উদ্যোক্তাপশ্চিমবঙ্গ সরকার
প্রকল্প বাজেট₹৫,০০০ কোটি টাকা (প্রায়)
শুরুর সময়২০১৯ সাল
দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগকৃষি বিভাগ
লাভার্থীপশ্চিমবঙ্গের কৃষকগণ
উদ্দেশ্যরাজ্যের কৃষকদের আয় ও সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান
বয়স সীমাডেথ বেনিফিটের ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ৬০ বছর
অনুদানের পরিমাণবার্ষিক সর্বনিম্ন ₹৪০০০/- থেকে সর্বোচ্চ ₹১০,০০০/- টাকা
আবেদন পদ্ধতিঅফলাইনে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অথবা বি ডি ও অফিস
সরকারী ওয়েবসাইটhttps://krishakbandhu.net/

কৃষক বন্ধু প্রকল্প উপাদান

এই প্রকল্পের অধীনে প্রধান দুটি উপাদান রয়েছে, সেগুলি নিচে উল্লেখ করা হলঃ

  • “কৃষক বন্ধু” (নিশ্চিত আয়) প্রকল্প
  • “কৃষকবন্ধু” (মৃত্যু সুবিধা) প্রকল্প

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য

নিচে এই প্রকল্পের সুবিধা ও বৈশিষ্টগুলি তালিকাবদ্ধ করা হলঃ

  • কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধাগুলি শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের কৃষক এবং তাদের পরিবারের জন্য।
  • ১ একর বা তার বেশি চাষযোগ্য জমির ক্ষেত্রে কৃষকরা বার্ষিক মোট ₹১০,০০০/- টাকা পাবেন।
  • ১ একরের কম চাষযোগ্য জমির ক্ষেত্রে কৃষকরা বছর প্রতি ₹৪,০০০/- টাকা অনুদান পাবেন।
  • এই অনুদানের অর্থ দুটি সমান কিস্তিতে প্রথমে খরিফের সময় এবং দ্বিতীয় রবি মৌসুমে দেওয়া হয়।
  • ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কৃষকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার বৈধ উত্তরাধিকারী ₹২ লক্ষ টাকার অনুদান পাবেন।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের যোগ্যতার মানদণ্ড

এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত যোগ্যতাগুলি থাকা প্রয়োজনঃ

  • আবেদনকারীকে একজন কৃষক হতে হবে।
  • আবেদনকারী অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হবেন।
  • যে সমস্ত কৃষকদের চাষযোগ্য জমি আছে বা রেকর্ড অফ রাইট্‌স (RoR), পাট্টা বা ফরেস্ট পাট্টা রয়েছে এবং নথিভুক্ত ভাগচাষিরা হলেন এই প্রকল্পের যোগ্য।
  • ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কোনো কৃষক বা নথিভুক্ত ভাগচাষীর (শেয়ার ক্রপার) মৃত্যু হলে, মৃত ব্যক্তির আইনগত উত্তরাধিকারী এককালীন অনুদান পাওয়ার যোগ্য হবেন।

প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের প্রয়োজনীয় নথি 

কৃষক বন্ধু (নিশ্চিত আয়) প্রকল্পের জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলি প্রয়োজনঃ

  • চাষের জমির সর্বশেষ RoR/ RoR বর্গা/পাট্টা রেকর্ড/বন পাট্টার রেকর্ড
  • আধার কার্ড
  • ভোটার আইডি কার্ড (বাধ্যতামূলক)
  • ব্যাঙ্ক পাস বইয়ের ১ম পৃষ্ঠা / বাতিল চেক
  • মোবাইল নম্বর
  • নতুন রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • জমির মালিক না হলে সেক্ষেত্রে চাষযোগ্য জমির স্ব-ঘোষণাপত্র এবং দলিল
  • ওয়ারিসান সার্টিফিকেট

কৃষক বন্ধু (ডেথ বেনিফিট) প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় নথিঃ

  • মৃত কৃষকের পরিচয়ের ফটোকপি/ নথিভুক্ত ভাগচাষী (ভোটার আইডি/আধার কার্ড/প্যান কার্ড/পাসপোর্ট)
  • মৃত কৃষক/ নথিভুক্ত ভাগচাষীর মৃত্যু শংসাপত্রের ফটোকপি
  • BDO থেকে যোগ্য আবেদনকারীর শংসাপত্র
  • মৃত কৃষকের ROR/ নথিভুক্ত ভাগচাষী

কৃষক বন্ধু টাকা ঢুকেছে কিনা । কৃষক বন্ধু লিস্ট চেক

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের খারিফ ফসলের টাকা সাধারন ভাবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এবং রবি ফসলের ক্ষেত্রে অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে টাকা দেওয়া হয়। 

২০২১ ও ২২ সালে খারিফ ফসলের টাকা দেওয়া হয়েছিল জুন মাসে এবং রবি ফসলের টাকা দেওয়া হয়েছিল ডিসেম্বরে, কিন্তু ২০২৩ সালে এপ্রিল মাসেই খারিফ ফসলের টাকা দেওয়া হয় এবং রবি ফসলের টাকা ডিসেম্বর মাসেই দেওয়া হয়েছিল।

চলতি ২০২৪ সালে বছরের প্রথম কিস্তি খারিফ ফসলের টাকা ১২ই জুন ছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগ কৃষকই কিস্তির টাকা পেয়েছেন, বাকিদের ক্ষেত্রে নবান্ন সূত্রে জানানো হয়েছে যে জুন মাসের ২৫ তারিখের মধ্যেই তারা টাকা পেয়ে যাবেন।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা আপনি পেয়েছেন কিনা তা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স যাচাই করার মাধ্যমে আপনি দেখে নিতে পারেন।

এছাড়া নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে, সরকারী পোর্টাল থেকেও টাকা ঢুকেছে কিনা তা যাচাই করে নিতে পারবেনঃ

krishak bandhu scheme official website
krishak bandhu farmer search
  • এখানে আপনি আপনার ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, কৃষক বন্ধু আইডি বা মোবাইল নম্বর লিখে এবং ক্যাপচা পূরণ করে সার্চ করলেই আপনার স্ট্যাটাসটি আপনি নিচে দেখে নিতে পারবেন।
krishak bandhu status

কৃষক বন্ধু আইডি

প্রত্যেক কৃষক বন্ধু আবেদনকারীর একটি সতন্ত্র আইডি তৈরি হয়। কৃষক বন্ধু আইডি দেখার ধাপগুলি নিচে দেওয়া হলঃ

  • আপনাকে অফিসিয়াল পোর্টাল krishakbandhu.net -এ গিয়ে ‘নথিভুক্ত কৃষকের তথ্য’ তে ক্লিক করতে হবে।
  • এখানে আপনার ভোটার বা আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর অথবা মোবাইল নম্বর লিখে এবং ক্যাপচা পূরণ করে ‘সার্চ’-এ ক্লিক করতে হবে।
  • তাহলেই নিচে আপনার ‘অ্যাস্যুর্‌ড ইনকাম এন্ড ডেথ বেনিফিট আইডি’ বা AKD ID এবং ‘কৃষক বন্ধু আইডি’ সহ সম্পূর্ণ স্ট্যাটাসটি দেখতে পাবেন।

কৃষক বন্ধু স্ট্যাটাস চেক

কৃষক বন্ধু পোর্টালে স্ট্যাটাস চেক করতে গিয়ে অনেকেই অনেক প্রকার ‘ট্রানজাকশান স্ট্যাটাস’ দেখতে পাচ্ছেন। তাই এখন দেখে নেওয়া যাক যে এই বিভিন্ন স্ট্যাটাস আপডেটের অর্থ কি!

ট্রানজাকশান স্ট্যাটাস অর্থ কি এবং কি করতে হবে?
  কোন নথি জমা না হওয়া পর্যন্ত ট্রানজাকশান স্ট্যাটাসটি ফাঁকা দেখাবে।
ADA Uploaded ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার’ অর্থাৎ ‘ব্লক কৃষি আধিকারিক’ আবেদনপত্রটি নথিভুক্ত করার কাজটি সম্পন্ন করেছেন।
DDA Approved ‘ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এগ্রিকালচার’ অর্থাৎ ‘জেলা কৃষি আধিকারিক’ আবেদনপত্রটি ভ্যারিফাই ও মঞ্জুর করেছেন।
DDA Revert জেলা কৃষি আধিকারিক যদি আবেদনপত্রটিতে কোন ত্রুটি দেখেন তাহলে তা আবার ব্লক কৃষি আধিকারিকের কাছে পাঠিয়ে দেবেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে ব্লক কৃষি আধিকারিকের অফিসে যোগাযোগ করে ত্রুটি সংশোধন করতে হবে।
SNO Download স্টেট নোডাল অফিসার আবেদনকারীর নথিগুলি যাচাইয়ের জন্য ডাউনলোড করেছেন।
SNO Sent to bank স্টেট নোডাল অফিসার আপনার নথিগুলি যাচাইয়ের জন্য ব্যাঙ্কের কাছে পাঠিয়েছেন।
SNO Reject স্টেট নোডাল অফিসার দ্বারা আবেদনপত্রটি বাতিল করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে আপনাকে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে ব্লক কৃষি আধিকারিকের দপ্তরে যেতে হবে।
Account Valid অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফাই করা হয়েছে এবং সেক্ষেত্রে সব ঠিক আছে।
Account Invalid অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফাই করে কোন ত্রুটি ধরা পরেছে, সেক্ষেত্রেও আপনাকে ব্লক কৃষি আধিকারিকের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
Transaction Success অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর আপনি এই সাক্‌সেস ম্যাসেজটি দেখতে পাবেন।
Transaction Failed ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাথে আধার, মোবাইল নম্বর বা অন্যান্য KYC ঠিকঠাক না করা থাকলে ট্রানজাকশান ফেল হওয়ার সম্ভবনা থাকে, সেক্ষেত্রে KYC নথি ও ব্যাঙ্কের কাগজ নিয়ে ব্লক কৃষি আধিকারিকের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদন করবেন কীভাবে

এই প্রকল্পের আবেদন বর্তমানে শুধুমাত্র অফলাইনেই করা সম্ভব। আবেদনের পদ্ধতিটি নিচে আলোচনা করা হলঃ

  • কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আবেদনের জন্য বর্তমানে আপনাকে কৃষক বন্ধু আবেদনের ফর্ম ছাড়াও আরও দুটি জরুরী ফর্ম পূরণ করতে হবে, যেগুলি আপনি অফিসিয়াল সাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন অথবা দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বা বিডিও অফিস থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন।
  • এই ফর্মগুলি যথাযথ ভাবে পূরণ করে সাথে উপরে উল্লিখিত প্রয়োজনীয় নথীগুলি সংযোজিত করে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বা বিডিও অফিসে জমা দিতে হবে। ফর্ম জমা দেওয়া হলে ফর্মের ‘প্রাপ্তি স্বীকার’ অংশটি আপনাকে ফেরত দেওয়া হবে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্প হেল্পলাইন

  • সরাসরি হেল্পলাইন নম্বরঃ 8336957370/ 6291720406 (সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা)
  • ই-মেলঃ krishak.bandhu@ingreens.in

কৃষক বন্ধু প্রকল্প সম্পর্কিত প্রশ্ন

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কত টাকা পাওয়া যায়?

কৃষক বন্ধু নতুন প্রকল্পের অধীনে নথিভুক্ত প্রত্যেক কৃষক, এক একর বা তার বেশি চাষযোগ্য জমির ক্ষেত্রে বার্ষিক ₹১০,০০০/- টাকা সরকারী অনুদান পাবেন এবং এক একরের কম জমির ক্ষেত্রে কৃষকরা বার্ষিক সর্বনিম্ন ₹৪,০০০/- টাকা পাবেন। এই অনুদান খরিফ ও রবি মৌসুমের জন্য দুটি সমান কিস্তিতে প্রদান করা হবে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে কিভাবে টাকা দেওয়া হয়?

এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ‘ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার’ বা DBT-এর মাধ্যমে অর্থপ্রদান করা হয়।

কারা কৃষক বন্ধু প্রকল্পর যোগ্য?

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের যে কোন কৃষক, যাদের নিজস্ব চাষের জমি রয়েছে বা নথিভুক্ত ভাগচাষিরা, এছাড়া রেকর্ড অফ রাইট্‌স, পাট্টা বা ফরেস্ট পাট্টা যাদের রয়েছে তারাই হলেন এই প্রকল্পের যোগ্য।

এছাড়া ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কোন কৃষক বন্ধু সুবিধাভোগীর মৃত্যু হলে তার পরিবারও আর্থিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য।

কিভাবে কৃষক বন্ধু স্ট্যাটাস চেক করবো?

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের স্ট্যাটাস অনলাইনে সহজেই চেক করা সম্ভব। আপনাকে অফিসিয়াল পোর্টাল krishakbandhu.net খুলতে হবে এবং ‘নথিভুক্ত কৃষকের তথ্য’ তে ক্লিক করতে হবে। এরপর  আপনার আধার, ভোটার বা মোবাইল নম্বর দিয়ে সার্চ করে আপনি স্ট্যাটাসটি দেখে নিতে পারবেন।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা বছরে কতবার দেওয়া হয়?

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের বছরে দুই বার টাকা দেওয়া হয়ে থাকে। প্রথমটি খারিফ মৌসুমের সময় এবং দ্বিতীয়টি রবি মৌসুমে, সমান দুটি কিস্তিতে সর্বাধিক ₹১০,০০০/- টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে।

কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ডেথ বেনিফিট কত টাকা পাওয়া যায়?

কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কোন কৃষক বা ভাগচাষীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে, মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীকে এককালীন ₹২ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

Leave a Comment