প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা 2024 | Pradhan Mantri Awas Yojana in Bengali

Updated on May 13th, 2024 ||

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প, যা ২০১৫ সালে চালু করা হয়েছিল। দেশে পাবলিক হাউজিং প্রোগ্রাম স্বাধীনতার পরপরই উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে শুরু হয়। গ্রামীণ আবাসন কর্মসূচি ১৯৮৫ সালে ইন্দিরা আবাস যোজনা (আইএওয়াই) দিয়ে শুরু হয়েছিল। যদিও তা ছিল শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকার জন্য এবং সেটিতে স্বচ্ছতার অভাব, বাড়ির নিম্নমানের গুণমান, প্রযুক্তিগত তদারকির অভাব থেকে গিয়েছিল। 

১লা এপ্রিল ২০১৬ ইন্দিরা আবাস যোজনা (IAY) কে পুনর্গঠন করে “হাউসিং ফর অল” বা “সকলের জন্য আবাসন”, সরকারের এই প্রতিশ্রুতির পরিপ্রেক্ষিতে “প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ (PMAY-G)” তৈরি করা হয়েছে।

আবাস যোজনার উদ্দেশ্য হল ভারতের সমস্ত দরিদ্র লোকেদের যাদের নিজস্ব পাকা বাড়ি নেই বা যারা জীর্ণ বা কাঁচা বাড়িতে থাকেন তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায় পাকা বাড়ি প্রদান করা।

আবাস যোজনার ব্যয় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে করে থাকে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নোডাল এজেন্সিগুলি (CNAs) রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে (UTs) কেন্দ্রীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে। যেহেতু পার্বত্য ও সমতল অঞ্চলের ব্যয়ের পরিমানে তারতম্য থাকে তাই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে ব্যয়ের অনুপাত অঞ্চল ভিত্তিক হয়ে থাকে৷ 

এ যাবৎ আবাস যোজনায় মোট ব্যয় হয়েছে ৮ লক্ষ কোটি টাকারও বেশী এবং ২ কোটিরও বেশী আবাসন তৈরি করা হয়েছে। 

যোজনার নামপ্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা
বিভাগগ্রামীণ এবং শহুরে
যোজনা শুরুর তারিখ২০১৫
যোজনার ধরনকেন্দ্রীয় সরকার যোজনা
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়
যোজনাটির পূর্বের নামইন্দিরা আবাস যোজনা

Table of Contents

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কি?

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PMAY) সমাজের দুর্বল অংশ, নিম্ন আয় গোষ্ঠীর মানুষ, শহুরে এবং গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন প্রদানের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। এই যোজনায় সাশ্রয়ী মূল্যে প্রায় ২০মিলিয়ন বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া ক্রেডিট লিঙ্কড সাবসিডি স্কিম (CLSS), এর সাহায্যে PMAY স্কিমের সুবিধাভোগীরা নতুন বাড়ি ক্রয় বা নির্মাণের জন্য ঋণের সুদের ভর্তুকিও পাবেন। ২০২৪ সালের ইউনিয়ন বাজেটে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ব্যয় ৬৬% বৃদ্ধি করে ₹৭৯,০০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

pradhan mantri awas yojana in bengali

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা পরিকল্পনা

  • ক্রেডিট লিঙ্কড সাবসিডি (CLSS) এই স্কিমের অধীনে, সরকার ২০ বছরের জন্য হাউজিং লোনের উপর ৬.৫% সুদ ভর্তুকি প্রদান করবে। সুদের ভর্তুকির নেট বর্তমান মূল্য (NPV) ৯% ডিসকাউন্ট হারে গণনা করা হবে। ঋণের সর্বাধিক ভর্তুকির পরিমাণ হতে পারে ₹২.৬৭ লাখ টাকা। ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি সরাসরি সুদের ভর্তুকি সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে জমা করবে যার ফলে আবাসনের ঋণের পরিমাণ হ্রাস পাবে।

  • ইন-সীটু স্লাম রিডেভেলোপমেন্ট (ISSR) ইন-সিটু বস্তি পুনঃউন্নয়ন (আইএসএসআর)- বেসরকারী সংস্থাগুলির সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে ভূমি সম্পদ ব্যবহার করে বস্তিবাসীদের পুনর্বাসন দেওয়া ও শহুরে বসবাসের উপযোগী করে তোলা। যোগ্য বস্তিবাসীদের জন্য নির্মিত বাড়ির ক্ষেত্রে ₹১ লক্ষ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে৷

  • অ্যাফরডেবল হাউসিং ইন পার্টনারশীপ (AHP) বা অংশীদারিত্বে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন (এএইচপি) সরকারি এবং বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্বে, অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অংশগুলিকে সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন সরবরাহ করা হবে। এই প্রকল্পের সাহায্যে EWS বা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ₹১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থ সহায়তা করা হয়।

  • সুবিধাভোগীদের নেতৃত্বে বাড়ি নির্মাণ ও বর্ধিতকরণ – যে সমস্ত সুবিধাভোগীরা উপরোক্ত তিনটি উপাদানের সুবিধা নিতে সক্ষম নন তারা এই উপাদানের অধীনে উপকৃত হবেন। এর অধীনে, EWS পরিবারগুলি তাদের বিদ্যমান বাড়িগুলিকে উন্নত করতে বা নতুন বাড়ি তৈরি করতে ₹১.৫০ লক্ষ টাকা কেন্দ্রীয় সহায়তা পাবে৷ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে, বাড়িগুলি পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিতে তৈরি করা হবে এবং নিচতলা বরাদ্দ করার সময় বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বিভাগ

এই প্রকল্পটি প্রশাসন দ্বারা দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যথাক্রমে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ (PMAY-G) এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শহুরে (PMAY-U)

১) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণঃ

এটি হোল ইন্দিরা আবাস যোজনার উত্তরসূরী যার উদ্দেশ্য হোল গ্রামের কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারী দরিদ্রদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের একটি পাকা আবাসন প্রদান করা যেখানে একটি স্বাস্থ্যকর রান্নাঘর সহ সমস্ত মৌলিক সুবিধা বজায় থাকবে। 

২) প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শহুরেঃ

২৫শে জুন ২০১৫ তে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা – শহুরে (PMAY-U)  চালু করা হয়েছিল৷ এটি “আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়” দ্বারা পরিচালিত যার উদ্দেশ্য হোল শহুরে অঞ্চলে নিম্ন আয়ের গোষ্ঠী বা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য পাকা বাড়ির চাহিদা পূরণ করা।

সমগ্র ভারত জুড়ে প্রায় ৪,৩০০টি শহর এই যোজনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্যগুলির অনুরোধে PMAY-শহুরে প্রকল্পের বাস্তবায়নের সময় ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বৈশিষ্ট্য

  • প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণের লক্ষ্য ২০২২ সালের মধ্যে গ্রামের ১ কোটি দরিদ্র পরিবারগুলি যাদের পাকা বাড়ি করার সামর্থ্য নেই বা যাদের বাড়ির ছাদ নেই বা যারা জীর্ণ অথবা কাঁচা বাড়িতে থাকেন তাদের একটি পাকা বাড়ি ও মৌলিক সুবিধেগুলি যেমন পানীয় জল বা ইলেক্ট্রিসিটি সরকারের সহায়তায় প্রদান করা হবে। এখন পর্যন্ত এরূপ ২ কোটিরও বেশী আবাসন PMAY-G এর অধীনে এবং প্রায় ৭২ লক্ষ আবাসন PMAY-U এর অধীনে প্রস্তুত করা হয়েছে। 

  • আবাসনগুলিতে একটি স্বাস্থ্যকর রান্না ঘরের ব্যবস্থা রাখতে বাড়ির ন্যূনতম আকার ২০ বর্গমিটার থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ বর্গমিটার করা হয়েছে।

  • সরকারের সহায়তার পরিমাণ সমতল অঞ্চলের ক্ষেত্রে ₹৭০,০০০/- টাকা থেকে বাড়িয়ে ₹১.২০ লক্ষ টাকা এবং পার্বত্য রাজ্য, দুর্গম অঞ্চল এবং ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান (IAP) বা উপজাতি ও অনগ্রসর জেলাগুলিতে ₹৭৫,০০০/- টাকা থেকে বাড়িয়ে ₹১.৩০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।

  • এই প্রকল্পের ব্যয় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথ ভাবে করে থাকে। সমতল অঞ্চলের ক্ষেত্রে ৬০ঃ৪০ অনুপাতে এবং উত্তর-পূর্ব এবং হিমালয়ের তিনটি রাজ্য, জম্মু কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের ক্ষেত্রে ৯০ঃ১০ অনুপাতে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে ভাগ করা হয়ে থাকে৷ 

  • প্রতিটি বাড়ির সাথে স্থায়ী টয়লেট নির্মাণের জন্য সুবিধাভোগী প্রতি ₹১২,০০০/- টাকা অনুদান ধার্য করা হয়েছে। এই অতিরিক্ত সহায়তা স্বচ্ছ ভারত মিশন-গ্রামীণ বা SBM-G-এর আওতায় থাকবে।

  • এই যোজনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল সুবিধাভোগী নির্বাচন। এক্ষেত্রে প্রকৃতভাবে বঞ্চিতদের যাচাইয়ের জন্য বিপিএল বা দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থিত পরিবারের মধ্যে থেকে সুবিধাভোগী নির্বাচন করার পরিবর্তে ”সোসিও ইকোনমিক এন্ড কাস্ট সেনসাস (SECC)” বা “আর্থ-সামাজিক ও জাতি জনগণনা ২০১১” তে আবাসন বঞ্চনার পরামিতি ব্যবহার করে সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হয়েছে এবং তা গ্রাম সভা দ্বারা পুনরায় যাচাই করা হয়েছে।

  • আবাসন নির্মাণ কাজের উন্নত মান বজায় রাখতে জাতীয় পর্যায়ে একটি নেশন টেকনিক্যাল সাপোর্ট এজেন্সি (এনটিএসএ) স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মানসম্পন্ন বাড়ি নির্মাণের অন্যতম প্রধান বাধা হল পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ রাজমিস্ত্রির অভাব। তাই রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে রাজমিস্ত্রির একটি প্যান-ইন্ডিয়া প্রশিক্ষণ এবং শংসাপত্র প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ রাজমিস্ত্রিদের কর্মজীবনের অগ্রগতি হবে। 

  • সুবিধাভোগীকে তাদের স্থানীয় ভূ-জলবায়ু উপযোগী ও দুর্যোগের পরিস্থিতির জন্য স্থিতিস্থাপকতা বৈশিষ্ট্য সহ বাড়ির নকশায় সহায়তা করা হবে। এই নকশাগুলি একটি জনসাধারণের পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয়।

  • কোন সুবিধাভোগী চাইলে ₹৭০,০০০/- টাকা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সুবিধা লাভ করতে পারেন সেক্ষেত্রে তা “স্টেট লেভেল ব্যাংকার’স কমিটি (SLBC)” ও “ডিস্ট্রিক্ট লেভেল ব্যাংকার্স কমিটি (DLBC)” এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

  • আবাসন নির্মাণের জন্য সেখানকার স্থানীয় উপকরণ, উপযুক্ত নকশা এবং প্রশিক্ষিত রাজমিস্ত্রি ব্যবহার করা হবে।

  • সুবিধাভোগীর মৌলিক সুবিধাগুলির জন্য যেমন, টয়লেট, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, ধোঁয়াবিহীন জ্বালানি ও তরল বর্জ্য পরিশোধন ইত্যাদি অন্যান্য সরকারি স্কিমগুলির সাথে যুক্ত করা হয়েছে।

  • সুবিধাভোগীকে সমস্ত অর্থপ্রদান ইলেকট্রনিকভাবে করা হবে তাই ব্যাঙ্ক/পোস্ট অফিস অ্যাকাউন্টের সাথে আধারের লিঙ্ক থাকা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ম

এই যোজনার প্রধান উদ্দেশ্য “সকলের জন্য আবাসন” পূরণের ক্ষেত্রে প্রকৃত সুবিধাভোগী শনাক্তকরণ ও নির্বাচনে স্বচ্ছতাই হোল সরকারের মূল লক্ষ। প্রকৃত বঞ্চিতরাই যেন এই যোজনার সুবিধে লাভ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে SECC (সোসিও ইকোনমিক এন্ড কাস্ট সেনসাস) এর তথ্য থেকে আবাসন বঞ্চনার পরিবারগুলি চিহ্নিত করে তারপর গ্রামসভা দ্বারা যাচাই করা হবে।

  • SECC তথ্য অনুযায়ী সমস্ত গৃহহীন মানুষ এবং কাঁচা দেওয়াল বা কাঁচা ছাদের এক বা দুটি কক্ষের বাড়িতে বসবাসকারীরা এই যোজনায় যোগ্য বলে গণ্য হবেন। এর জন্য দারিদ্র সীমার নিচে বা বিপিএল তালিকায় নাম থাকার প্রয়োজন নেই। 

  • প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বহুস্তরীয় অগ্রাধিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই সংখ্যালঘু, তফসিলি জাতি, উপজাতিগণ বা অন্যান্য বিশেষ বর্গের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

  • গৃহহীনতার ভিত্তিতে তেমনই আবার পরিবারগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে৷ সেক্ষেত্রে কক্ষ সংখ্যা অনুসরণ করে ক্রম নির্ণয় করা হবে যেমন শূন্য, এক এবং দুই কক্ষ। এই ক্রম অনুযায়ী দুই কক্ষে বসবাসকারীর তুলনায় শূন্য বা গৃহহীন মানুষের অগ্রাধিকার থাকবে।

  • যে পরিবারগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে SECC তে অন্তর্ভুক্ত এবং অন্যথায়, যে পরিবারগুলি ক্রমবর্ধমান বঞ্চনার স্কোরের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়েছে, তাদের প্রতিটির সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং নীচে দেওয়া আর্থ-সামাজিক পরামিতিগুলি থেকে স্কোরগুলি গণনা করা হবে।

সুবিধাভোগীদের শনাক্তকরণ এবং নির্বাচনঃ

  •  যে পরিবারে ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে কোনো সদস্য নেই ।

  • কোন মহিলা প্রধান পরিবার যেখানে ১৬ থেকে ৫৯ বছর বয়সের মধ্যে কোন পুরুষ সদস্য নেই।

  • যে পরিবারের শিক্ষিত সদস্যের বয়স ২৫ বছরের বেশি নয়।

  • এমন পরিবার যেখানে কোনো প্রতিবন্ধী সদস্য আছেন কিন্তু কোনো সক্ষম প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নেই।

  • কোন ভূমিহীন পরিবার যাদের আয়ের বড় অংশ আসে নিত্য কায়িক শ্রম থেকে।

উচ্চ বঞ্চনার স্কোরের পরিবারগুলিকে সাব গ্রুপের মধ্যে উচ্চ র‌্যাঙ্ক দেওয়া হবে। একটি সাব গ্রুপের মধ্যে একাধিক পরিবারের একই বঞ্চনা স্কোর থাকলে পরিবারগুলিকে নিম্নলিখিত পরামিতিগুলির ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবেঃ

  • পরিবারের সদস্যদের নিকটাত্মীয় যদি প্রতিরক্ষা/আধাসামরিক/পুলিশবাহিনী কর্মে নিহত হওয়ার কারনে পরিবারে কেউ বিধবা হন।

  • যে সকল পরিবারে একজন সদস্য কুষ্ঠ বা ক্যান্সারে এবং এইচআইভি (পিএলএইচআইভি) আক্রান্ত।

  • একটি অবিবাহিত মেয়ে সন্তানের পরিবার।

  • তফসিলি উপজাতি এবং অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী সুবিধাভোগী বনবাসী পরিবার যারা বন অধিকারের আইন ২০০৬ দ্বারা স্বীকৃতি।

  • কোন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য আয়ের সীমা

আবাস যোজনায় আবেদন করতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে যে আবেদনকারী ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্য কিনা। সেক্ষেত্রে পরিবারের মোট আয়ের পরিমাণ দেখে যোগ্যতা যাচাই করা হবে এবং আয়ের বিচারে শুধুমাত্র চাকরি বা ব্যবসা নয়, আবেদনকারীর বিনিয়োগ সহ অন্যান্য উৎস থেকে পরিবারের মোট আয়কে বিবেচনা করা হবে।

অর্থনৈতিক বিভাগ বার্ষিক আয়ের সীমা ভর্তুকি (%)
EWS বা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৬.৫
LIG বা নিম্ন আয়ের গোষ্ঠী ৩ লক্ষ টাকা থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৬.৫
MIG-I বা মধ্যম আয়ের গ্রুপ ১ ৬ লক্ষ টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত
MIG-II বা মধ্যম আয়ের গ্রুপ ২ ১২ লক্ষ টাকা থেকে ১৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

যদি কোন পরিবারের বছর প্রতি আয় ₹১৮ লক্ষ টাকা বা তার বেশী হয় তবে তারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ভর্তুকি পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য।

এই যোজনার যোগ্য আবেদনকারীকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ এবং এলআইজি এবং এমআইজি চিহ্নিত করতে তার ঋণের আবেদনের সাথে একটি স্ব-শংসাপত্র বা হলফনামা জমা দিতে হবে।

একজন সুবিধাভোগীর পরিবার বলতে স্বামী, স্ত্রী ও অবিবাহিত ছেলে-মেয়েকে বোঝায় এবং এই স্কিমের সুবিধা পাওয়ার জন্য ভারতের কোথাও সুবিধাভোগীর পরিবারে বা অন্য কারও নামে কোনও পাকা বাড়ি না থাকা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সুবিধা

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধাগুলির মধ্যে অন্যতম হোল ক্রেডিট লিঙ্কড সাবসিডি (CLSS) যার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তিদের হোম লোনের সুদের হারে ভর্তুকি প্রদান করা হয়। 

EWS, LIG এবং MIG-এর জন্য PMAY ভর্তুকির হার, ভর্তুকির পরিমাণ, সর্বোচ্চ ঋণের পরিমাণ এবং অন্যান্য বিবরণ নীচে উল্লেখ করা হলঃ

বৈশিষ্ট্য EWS LIG MIG-I MIG-II
সুদের হার ভর্তুকি ৬.৫০% ৬.৫০% ৪.০০% ৩.০০%
একটি বাসস্থানের জন্য সর্বোচ্চ কার্পেট এলাকা ৩০ বর্গ. মি ৬০ বর্গ. মি ১৬০ বর্গ. মি ২০০ বর্গ. মি
সুদের ভর্তুকির জন্য হাউজিং ঋণ পরিমাণ ৬ লক্ষ ৬ লক্ষ ৯ লক্ষ ১২ লক্ষ
সর্বোচ্চ ভর্তুকি পরিমাণ ২.৬৭ লক্ষ ২.৬৭ লক্ষ ২.৩৫ লক্ষ ২.৩০ লক্ষ
সর্বোচ্চ হোম লোনের মেয়াদ ২০ বছর ২০ বছর ২০ বছর ২০ বছর

এক্ষেত্রে উল্লেখ করার বিষয় হোল যে আপনি আপনার প্রয়োজন মত বেশী লোণ নিতেই পারেন তবে লোণের সাবসিডি আপনি আপনার বিভাগ অনুসারে পাবেন যেমন LIG বিভাগের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৬ লক্ষ টাকাই সাবসিডির জন্য প্রযোজ্য হবে।

এখানে PMAY-U সুদের হার এবং হোম লোন পরিশোধের ক্ষেত্রে কীভাবে সহায়তা করবে তা বোঝার জন্য  একটি সহজ উদাহরণ দেওয়া হোল।

ধরা যাক MIG-I বা মধ্যম আয় গ্রুপ ১ এর অন্তর্গত কোন ব্যক্তি ₹৩০ লক্ষ টাকা দামের ১ টি বাড়ি কিনতে চান। তবে তাকে বাধ্যতামূলক ২০% ডাউন পেমেন্ট নিজে থেকে আগে দিতেই হবে, যার পরিমাণ ₹৬ লাখ টাকা। বাকি ₹২৪ লক্ষ টাকার জন্য, তিনি একটি হোম লোন বেছে নেন। ধরা যাক তার সুদের হার বার্ষিক ৮.৫০%।  যেহেতু তিনি MIG-I এর অন্তর্গত তাই ঋণের পরিমাণ থেকে ₹৯ লাখ টাকা সুদের হার ভর্তুকির জন্য যোগ্য, অর্থাৎ ₹৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৪% হারে সুদ দিতে হবে এবং বাকি শুধুমাত্র ₹১৫ লক্ষ টাকার ওপর তাকে ৮.৫০% হারে সুদ প্রদান করতে হবে। তবে, ভর্তুকির পরিমাণ ₹২.৩৫ লক্ষের বেশি হতে পারে না।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা আবেদন

এই যোজনায় অনলাইন আবেদনের জন্য নীচে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুনঃ

  • প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অফিসিয়াল সাইট pmaymis.gov.in খুলুন।

  • মেনু বার থেকে “সিটিজেন এসেস্‌মেন্ট” বেছে নিয়ে “ফর স্লাম ডুয়েলারস্‌” বা “বস্তির বাসিন্দাদের জন্য” অথবা “বেনিফিটস আন্ডার আদার থ্রী কম্পোনেন্টস্‌” বা “অন্য তিনটি উপাদানের অধীনে সুবিধা” তে ক্লিক্‌ করুন।

  • এরপর Check Aadhaar/Virtual ID No. Existence পেজ্‌টি খুলবে যেখানে আপনার আধার কার্ডের নাম্বারটি লিখে “চেক্‌” বাটন এ ক্লিক্‌ করতে হবে।

  • আবেদনকারী এরপর আবেদনের ফর্মটি তে পৌঁছাবেন যেখানে আবেদনকারীকে আয়ের বিবরণ, ব্যক্তিগত বিবরণ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে এই ফর্মটিকে পূরণ করতে হবে।

  • ফর্মটি পূরণ করা হয়ে গেলে, ক্যাপচা কোড লিখে ‘সেভ’ বাটনে ক্লিক্‌ করুন। 

  • আবেদনটি সম্পূর্ণ হয়ে গেলে পেজ্‌টি ডাউনলোড করে একটি প্রিন্ট করে নিন। 

আপনি যদি অফলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে-

  • আপনাকে কোন ‘কমন সার্ভিস সেন্টার’ বা CSC  অথবা বা PMAY-এর অধীনে তালিকাভুক্ত কোন ব্যাঙ্কে যেতে হবে। আপনার কাছের CSC জানতে cscindia.info তে সার্চ করুন। 

  • সেখানে আপনাকে আবেদন পত্রটি ₹২৫/- টাকা + GST দিয়ে কিনতে হবে। 

  • তারপর যথাযত ভাবে তা পূরণ করে জমা দিতে হবে।

তবে আবেদন করার আগে নিশ্চিত হওয়া উচিৎ যে তিনি ভর্তুকির জন্য যোগ্য কি না।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কি কি ডকুমেন্ট লাগবে

বেতনভোগী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেঃ

পরিচয় প্রমাণপত্র- এক্ষেত্রে প্যান কার্ড বাধ্যতামূলক। এছাড়াও আবেদনকারীকে অতিরিক্ত পরিচয়পত্র প্রদান করতে হবে। সেক্ষেত্রে আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, ফটো ক্রেডিট কার্ড, বা সরকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা জারি করা অন্য কোন ফটো-পরিচয় পত্র হতে পারে।

ঠিকানা প্রমাণ- ঠিকানার প্রমান পত্র নথিগুলির মধ্যে রয়েছে ভোটার আইডি কার্ড, আধার কার্ড, বৈধ পাসপোর্ট, ইউটিলিটি বিল, জীবন বীমার নথি, আবাসনের ঠিকানা শংসাপত্র, পোস্ট অফিসে সঞ্চয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবৃতি, সম্পত্তি করের রসিদ, ক্রেডিট কার্ডের বিবৃতি যা তিন মাসের বেশি হওয়া উচিত নয় ইত্যাদি। 

আয় প্রমাণ- আয়ের প্রমান হিসেবে ৬ মাসের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ও শেষ ২ মাসের বেতন স্লিপ এবং ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন (ITR) ফাইল।

স্ব-নিযুক্ত আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেঃ

স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের বেতনভোগী ব্যক্তিদের মতো নথি উপস্থাপন করতে হবে এবং সাথে আয়ের প্রমাণ হিসাবে তাদের ব্যবসা সম্পর্কিত কিছু অতিরিক্ত বিবরণ প্রদান করতে হবে।

ব্যবসার ঠিকানা প্রমাণপত্র- একজন স্ব-নিযুক্ত আবেদনকারীর ক্ষেত্রে তাঁর ব্যবসার অস্তিত্ব প্রমাণ করার নথি জমা করা বাধ্যতামূলক। 

সেক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেট, দোকান ও প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট, সেলস ট্যাক্স, প্যান কার্ড বা ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, মেমোরেন্ডাম অফ অ্যাসোসিয়েশন, অংশীদারি দলিল ইত্যাদি প্রদান করা যেতে পারে।

আয় প্রমাণ- এখানে আয় প্রমান হিসেবে আবেদনকারীকে তার ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং  অনুরূপ বিবৃতি সহ ব্যবসার জন্য গত ছয় মাসের অ্যাকাউন্টের বিবৃতি প্রদান করতে হবে। এছাড়া পূর্ববর্তী দুই বছরের ITR, লাভ ও ক্ষতি এবং ব্যালেন্স শীটের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লিস্ট

নিম্নলিখিত উপায় লিস্ট দেখতে কোন রকম রেজিস্ট্রেশন নম্বরের প্রয়োজন নেই।

  • আবাস যোজনা গ্রামীণের লিস্ট দেখতে আপনাকে অফিসিয়ালা সাইট pmayg.nic.in -এ গিয়ে মেনু থেকে ‘Awaassoft’ এর ভিতরের ২য় লিঙ্ক ‘Report’ এ ক্লিক করতে হবে।
pradhan mantri awas yojana data list awaassoft report
  • রিপোর্ট পেজটি খোলার পর সেই পেজে অনেকগুলি লিঙ্ক দেখতে পাবেন। আপনাকে সবচেয়ে শেষের লিঙ্ক ‘Beneficiary details for verification’ এ ক্লিক করে হবে।
pradhan mantri awas yojana beneficiary details for verification
  • এরপর আপনি ‘MIS Report’ পেজে পৌঁছাবেন যেখানে আপনাকে ‘Selection Filters’ এ গিয়ে রাজ্যের নাম, জেলার নাম, ব্লকের নাম, কোন বছরের লিস্ট দেখতে চাইছেন এবং যোজনার নাম ও সবশেষে নিচের ক্যাপচাটি লিখে সাবমিট করতে হবে। 
pradhan mantri awas yojana data list mis report
  • আপনার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আপনার গ্রামের সমস্ত সুবিধাভোগীর নামের লিস্ট আপনি দেখতে পাবেন।
pradhan mantri awas yojana beneficiary list

আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লিস্ট 2024

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা স্ট্যাটাস চেক

  • আপনাকে আবাস যোজনা গ্রামীণের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট pmayg.nic.in -এ যেতে হবে এবং মেনু থেকে ‘Stakeholders’ এর ভিতরের সবচেয়ে প্রথম লিঙ্ক ‘IAY/PMAYG Beneficiary’  তে ক্লিক করতে হবে।

  • এরপর যে পেজটি খুলবে সেখানে আপনার রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি জানতে চাওয়া হবে। সেখানে রেজিস্ট্রেশন নম্বরটি লিখে আপনাকে সাবমিট করতে হবে।
pradhan mantri awas yojana beneficiary details

  • তাহলেই আপনি আবেদনকারীর ডিটেলস পেজটি দেখতে পাবেন যেখান থেকে আপনি ‘পার্সোনাল ডিটেলস’, ‘ব্যাঙ্ক ডিটেলস’, ‘এফটিও’ বা ফান্ড ট্রান্সফার অর্ডার অর্থাৎ কবে কত টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে এসেছে তা চেক করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীন লিস্ট 2024

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সম্পর্কিত প্রশ্ন (FAQ)

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা কত টাকা?

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত সর্বাধিক ₹২,৬৭,২৮০/- টাকার সাবসিডি আপনি পেতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সর্বোচ্চ মেয়াদ কত?

PMAY স্কিম হোম লোনের সর্বোচ্চ মেয়াদ হোল ২০ বছর।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শেষ তারিখ কত?

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার শেষ তারিখ হোল ৩১শে ডিসেম্বর ২০২৪।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ কত টাকা দেওয়া হয়?

সমতল অঞ্চলের ক্ষেত্রে ₹৬০,০০০/- করে ২টি কিস্তিতে মোট ₹১.২০ লক্ষ টাকা এবং পার্বত্য রাজ্য, দুর্গম অঞ্চল এবং উপজাতি ও অনগ্রসর জেলাগুলির ক্ষেত্রে ৩টি কিস্তিতে (₹৬০,০০০ + ₹৬০,০০০ + ₹১০,০০০) মোট ১.৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।

সেন্ট্রাল নোডাল এজেন্সি (সিএনএ) কারা?

হাউসিং এন্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (HUDCO), ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক (NHB) এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI) হোল সেন্ট্রাল নোডাল এজেন্সি।

 কোন CLSS উপভোগী কি ৩০ বছরের জন্য হোম লোন পেতে পারেন?

হ্যাঁ, সুবিধাভোগী ৩০ বছর মেয়াদের জন্য হোম লোন পেতে পারেন, তবে কোন ক্ষেত্রেই ঋণের উপর সুদের ভর্তুকির মেয়াদ ২০ বছরের বেশি হবে না।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে PLI কি?

PLI হল প্রাইমারি লেন্ডিং ইনস্টিটিউশন বা প্রাথমিক ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান। সহজ কথায়, যে ব্যাঙ্ক থেকে আপনি ঋণ নিচ্ছেন তাই হোল PLI।

ঋণগ্রহীতাকে কী নিরাপত্তা দিতে হবে?

ক্রয় বা নির্মাণ করা বাড়িটি বন্ধক রাখতে হবে।

ক্রেডিট লিঙ্কড ভর্তুকি কোন শ্রেণীর গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য?

ক্রেডিট লিঙ্কযুক্ত ভর্তুকি সাধারণত বেতনভোগী এবং স্ব-নিযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য উপলব্ধ।

CLSS কি কোন রুরাল বা প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার সম্পত্তির জন্য প্রযোজ্য হবে?

না।

একজন অবিবাহিত প্রাপ্তবয়স্ক উপার্জনকারী ব্যক্তি কি CLSS ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন?

যদি তিনি যে সম্পত্তির জন্য ঋণ নেওয়া হবে তার একমাত্র মালিক ও শুধুমাত্র তার নিজের নামে ঋণ গ্রহণ করে থাকেন সেক্ষেত্রে তাকে একটি পৃথক পরিবার হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

Leave a Comment